জীবনদায়ী ওষুধের আকালে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ১৫৪ জন
জীবনদায়ী ওষুধের আকাল। থমকে চিকিত্সা। কার্যত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে, কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়া একশো চুয়ান্নজন রোগী। মানিকতলা ESI-হাসপাতালে ধর্না দিয়েও মিলছে না ওষুধ।
ওয়েব ডেস্ক:জীবনদায়ী ওষুধের আকাল। থমকে চিকিত্সা। কার্যত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে, কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়া একশো চুয়ান্নজন রোগী। মানিকতলা ESI-হাসপাতালে ধর্না দিয়েও মিলছে না ওষুধ।
প্রথমে ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান। তারপর বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণের ঘোষণা। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রায়শই গর্ব করেন নেতামন্ত্রীরা। মানিকতলা ESI হাসপাতাল ছবি সেই ঢক্কানিনাদে তালভঙ্গ।
মানিকতলা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়া একশো চুয়ান্নজন রোগী। কিডনির সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা সাতশো। হাসপাতাল থেকেই বিমার টাকায় নিয়মিত ওষুধ পান তাঁরা। এখন ওষুধের আকাল। মিলছে না,
PANINUNE BIORAL (প্যানিনিউন বায়োরাল)
RENODAPT S-360 (রেনোডাপ্ট এস-৩৬০)
PACROGRAPH (প্যাকরোগ্রাফ)
DELTAZINE (ডেল্টাজাইন)
OSTIOVAS-70 (ওস্টিওভাস ৭০)
NETROLIN-B PLUS (নেট্রোলিন বি প্লাস)
ওষুধের অভাবে কী হতে পারে? চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, ওষুধ বন্ধ হলে প্রথমে প্রস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়বে। তারপর রক্ত পরিশ্রুত করা বন্ধ করে দেবে কিডনি। কিডনি কাজ বন্ধ করায় রক্তে মিশবে দূষিত পদার্থ। ধীরে ধীরে একের পর এক অঙ্গে পচন ধরবে।
কেন ওষুধের আকাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, জীবনদায়ী ওষুধের যা স্টক ছিল তা ফুরিয়ে গেছে। নতুন ওষুধ কেনার জন্য টেন্ডার এখনও ডাকা হয়নি। টেন্ডার ডাকার সরকারি অনুমতিও এসে পৌছয়নি। ফলে কার্যত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ১৫৪ জন। ওষুধের অভাবে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় নিয়মিত ডায়ালিসিস। নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষগুলির ক্ষেত্রে যা কার্যত অসম্ভব।