বর্ধমান তৈরি হচ্ছিল ফিঁদায়ে জঙ্গি, ২৪ ঘন্টার হাতে আসা ডেয়রিতে মিলল সূত্র

শুধু জঙ্গি প্রশিক্ষণ নয়। শিমুলিয়া ও মুকিমনগরে মহিলা ফিঁদায়ে বাহিনী তৈরি করছিল খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা। ফেরার জঙ্গির ডায়রির সঙ্কেতে মিলল তেমনই ইঙ্গিত।   

Updated By: Nov 12, 2014, 05:52 PM IST
বর্ধমান তৈরি হচ্ছিল ফিঁদায়ে জঙ্গি, ২৪ ঘন্টার হাতে আসা ডেয়রিতে মিলল সূত্র

বর্ধমান: শুধু জঙ্গি প্রশিক্ষণ নয়। শিমুলিয়া ও মুকিমনগরে মহিলা ফিঁদায়ে বাহিনী তৈরি করছিল খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা। ফেরার জঙ্গির ডায়রির সঙ্কেতে মিলল তেমনই ইঙ্গিত।   

বীরভূমের কীর্ণাহারের কাফেরপুরে থাকেন বৃদ্ধা মা। মা জানেন, ছেলে চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রী। কিন্তু, রাজমিস্ত্রীর ডায়েরিতে ইট, বালি, সিমেন্টের হিসেব কোথায়? তার বদলে যা রয়েছে, তাতে চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। কী রয়েছে ডায়রিতে?

ডায়েরির একটি বিশেষ পাতায় স্পার্কল পেনের ছয়টি কালিতে লেখা রয়েছে জিন্নাতুনের নাম, ঠিকানা। কিন্তু, জিন্নাতুন ছাড়া বাবা, মা, গ্রাম, জেলা, পরগনা থেকে পিনকোড সবেতেই রয়েছে কোনও ধর্মীয় দর্শনের কথা, নয়তো ধর্মীয় ইতিহাসের কোনও বিশেষ ঘটনা বা জায়গার উল্লেখ।  

জিন্নাতুন কে? তদন্তকারীরা জেনেছেন সম্পর্কে সে কদরের বোন। কওসরের স্ত্রী। বাবুরবাগের ডেরায় একসঙ্গে থাকত কওসর-জিন্নাতুন, কদর ও আয়েশা। বর্ধমান বিস্ফোরণের পর কদরের মোটরবাইকেই বিস্ফোরক বাহক কওসর এলাকা ছাড়ে। NIA-র সন্দেহ, জিন্নাতুনের ঠিকানা হিসেবে কট্টর জঙ্গি কদর ডায়েরিতে যা লিখেছে তা ছেলেখেলা নয়। বরং গভীর সাংকেতিক বার্তা।

এই বার্তার কিছুটা পাঠোদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। জেহাদই যে জন্নত অর্থাত্‍ স্বর্গলাভের একমাত্র সহজ রাস্তা তাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে ডায়েরির পাতায়। তদন্তকারীদের সন্দেহ, খালি জেহাদে উদ্বুদ্ধ করা নয়, জেহাদের জন্য আত্মঘাতী বাহিনী তৈরির চেষ্টায় ছিল খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা।

ডায়েরির অন্যান্য পাতার লেখাও সেই সন্দেহকেই সমর্থন করছে। কিছু পাতায় গোলাপি কালিতে লেখা রয়েছে মহিলাদের নাম ও ফোন নম্বর। ওই মহিলারা যে শিমুলিয়া ও মুকিমনগরে প্রশিক্ষিত জঙ্গি, তা নিয়ে একরকম নিশ্চিত তদন্তকারীরা। তাদের খোঁজ করা হচ্ছে। রয়েছে রাজ্যের কিছু সন্দেহভাজন সিমি সদস্যের নামও। বাদবাকি পাতায় মিলেছে আসবাব পত্রের নামের আড়ালে বিস্ফোরক তৈরির উপকরণের সংকেত।  সব তথ্যই ইঙ্গিত দিচ্ছে মহিলা আত্মঘাতী স্কোয়াড তৈরির দিকেই এগোচ্ছিল এরাজ্যের জামাত জঙ্গিরা।

 

.