JU Student Death: যাদবপুরে কীভাবে মৃত্যু ছাত্রের, হস্টেলের বারান্দা থেকে ডামি ডল ফেলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ ফরেন্সিক টিমের
JU Student Death: ফরেন্সিক টিম বারবার বিভিন্নভাবে ওই ডলটি ফেলে দেখে ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। অর্থাত্ কেউ ঝাঁপ দিলে কোথায় পড়তে পারেন, কেউ তাকে ঠেলে দিলে কোথায় পড়তে পারেন অথবা কোনও দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেলে কোথায় পড়তে পারেন তা খতিয়ে দেখা হয়
পিয়ালি মিত্র: যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার ডামি ডল নিয়ে হস্টেলে এসে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিসের ফরেন্সিক টিম ও সায়েন্টিফিক উইং। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনতলা থেকে ওই ছাত্রকে ফেলে দেওয়া হয়েছে নাকি সে নিজেই ঝাঁপ দিয়েছিল তা একটা আন্দাজ পেতেই ফের ঘটনার পুনর্নির্মাণ। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাক্তন পড়ুয়া সৌরভ চৌধুরী অবশ্য দাবি করেছেন, ওই ছাত্রকে কোনও র্যাগিং করা হয়নি। ছেলেটি নিজে করিডর থেকে ঝাঁপ দেয়'।
আরও পড়ুন- 'কোনও র্যাগিং হয়নি, ছেলেটি নিজে করিডর থেকে ঝাঁপ দেয়'!
মোট তিনটি সম্ভাবনার বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাটি খুন, আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা। মনে করা হচ্ছে তিনটি সম্ভাবনার ক্ষেত্রে তিনতলা থেকে পড়ার ধরন আলাদা হবে। সেই দিকটাই দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ওই প্রক্রিয়ার পরই অভিযুক্তদের জেরা করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওপর থেকে পড়ে যদি কারও মৃত্যু হয় তাহলে তা ময়না তদন্তে উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়। কীভাবে একজন উপর থেকে পড়ল, তাকে ধাক্কা দেওয়া হল, নাকি সে ঝাঁপ দিল, নাকি দুর্ঘটনাবশত সে পড়ে গেল। বিষয়টি আন্দাজ করা হয় নিহতের সম ওজনের কোনও পুতুল ওই একই জায়গা থেকে ফেলে। কেউ উপর থেকে যে জায়গায় পড়বে তার থেকে তফাত হবে কেউ তাকে ঠেলে দিলে। কেউ যদি দুর্ঘটনাবশতও পড়ে যায় সেটাও ফরেন্সিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব।
এখনওপর্যন্ত স্পষ্ট নয় ওই ছাত্রকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, নাকি সে পড়ে গিয়েছিল, নাকি সে ঝাঁপ দিয়েছিল। তবে একটি বিষয় বেরিয়ে আসছে যে ঘটনার আগে ওই ছাত্রের উপরে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই নির্যাতনের পরই এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে ওপর থেকে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। এখন এর নেপথ্যে কোন ঘটনা?সেটাই এখন তদন্তের বিষয়। হাওড়ার আনিস খানের ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছিল যে তাকে মেরে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ডামি ডল ওপর থেকে ফেলে প্রমাণ করা হয় যে তিনি দুর্ঘটনাবশত ওপরে থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। এক্ষেত্রেও তদন্তকারীরা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে চাইছেন।
ওই ছাত্রের পরিবারের দাবি, নির্যাতন করার পর তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ফরেন্সিক টিম বারবার বিভিন্নভাবে ওই ডলটি ফেলে দেখেন ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। অর্থাত্ কেউ ঝাঁপ দিলে কোথায় পড়তে পারেন, কেউ তাকে ঠেলে দিলে কোথায় পড়তে পারেন অথবা কোনও দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেলে কোথায় পড়তে পারেন তা খতিয়ে দেখা হয়।
হস্টেলের ১০৪ নম্বর রুমে থাকত মনোজিত। সেই রুম থেকেই গোটা ঘটনার সূত্রপাত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই রুমে বসিয়েই ওই ছাত্রকে দিয়ে একটি চিঠি লেখানোর চেষ্টা হয়। সেই চিঠি শেষপর্যন্ত লেখে দীপশেখর। সেখানে তাকে জোর করে সই করানো হয়। সেখান থেকে ওই ছাত্রকে সেকেন্ড ফ্লোরের ৬৮ নম্বর রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ইন্ট্রো দেওয়ার নামে তার উপরে মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে তদন্তে উঠে আসছে। ওই তলেরই কোণের একটি জায়গা থেকে নীচে পড়ে যায় ওই ছাত্র।