দুর্গাপুর থেকে গ্রিন করিডোরে রাতেই কলকাতায় এল অঙ্গ, প্রতিস্থাপনে নজির রাজ্যে
সন্ধে ৭:২০ মিনিটে দুর্গাপুর থেকে রওনা হয়ে ১৭০ কিমি পথ গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে রাত ৯:৪০ মিনিটে এসএসকেএমে এসে পৌঁছায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এই প্রথমবার জেলা থেকে কলকাতায় অঙ্গ এল প্রতিস্থাপনের জন্য। দুর্গাপুর থেকে মধুস্মিতার লিভার, দুটি কিডনি এবং কর্নিয়া গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে রবিবার রাত দশটা নাগাদ এসএসকেএমে এসে পৌঁছায়। তার পরেই শুরু হয় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার।
আরও পড়ুন - সত্যি জেনেও মিথ্যা কথা বলছে দেব, অভিনেতাকে পাল্টা এসভিএফের শ্রীকান্তের
১৬ নভেম্বর দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয় বছর তেরোর মধুস্মিতা বায়েনের। দেড় বছর বয়স থেকেই অসুস্থ মধুস্মিতা। ভালভাবে হাঁটতে চলতে এমনকি কথাও বলতে পারত না সে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিত্সার পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতেও তাকে নিয়ে যায় পরিবার। বারোই নভেম্বর দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি হয় মধুস্মিতা। ১৬ নভেম্বর ব্রেন ডেথ হয় তার। এরপরেই অঙ্গদানের চিন্তাভাবনা শুরু করে পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কথা বলেন এসএসকেএমে। সেই মতো রবিবার দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল থেকে মধুস্মিতার লিভার, দুটি কিডনি এবং কর্নিয়া গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে এসএসকেএমে এসে পৌঁছয় রাতে। সন্ধে ৭:২০ মিনিটে দুর্গাপুর থেকে রওনা হয়ে ১৭০ কিমি পথ গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে রাত ৯:৪০ মিনিটে এসএসকেএমে এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন - কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন ব্যক্তি
এসএসকেএমে ভর্তি ব্যারাকপুরের সঞ্জিত বালা পাচ্ছেন মধুস্মিতার লিভার। দীর্ঘদিন ধরেই সঞ্জিতের পরিবার লিভারের খোঁজ করছিল। অবশেষে মধুস্মিতার পরিবারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সঞ্জিতের পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে মধুস্মিতার কিডনির দুই জন গ্রহিতা হলেন দমদমের ২০ বছর বয়সী অভিষেক মিশ্র এবং নদিয়ার বাসিন্দা ২৩ বছরের মিঠুন দালাল।