বাড়ছে গঙ্গা দূষণ, কমছে নাব্যতা

ভয়াবহ আকার নিচ্ছে গঙ্গা দূষণ। ভারতের পবিত্রতম নদী গঙ্গার দূষণ বিপদমাত্রা ছুঁয়েছে অনেক আগেই। ফি বছর দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের পর তা আরও ভয়াবহ আকার নেয়। ক্রমেই কমছে নদীর নাব্যতা। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন, যে অবিলম্বে কোনও ব্যবস্থা না নিলে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে  ফেরি ও জাহাজ পরিষেবা বন্ধ হতে পারে । এমনই আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।  

Updated By: Oct 30, 2012, 05:28 PM IST

ভয়াবহ আকার নিচ্ছে গঙ্গা দূষণ। ভারতের পবিত্রতম নদী গঙ্গার দূষণ বিপদমাত্রা ছুঁয়েছে অনেক আগেই। ফি বছর দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের পর তা আরও ভয়াবহ আকার নেয়। ক্রমেই কমছে নদীর নাব্যতা। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন, যে অবিলম্বে কোনও ব্যবস্থা না নিলে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে  ফেরি ও জাহাজ পরিষেবা বন্ধ হতে পারে । এমনই আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।  
দুর্গাপুজোর বিসর্জন শেষ। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই লক্ষ্মীপুজোর বিসর্জন ঘিরে নতুন করে দূষিত কলকাতার লাইফলাইন গঙ্গা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিসর্জনের আগে থেকেই গঙ্গার জলদূষণ ইউনেসকোর নির্ধারিত মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মা দুর্গার চার ছেলে মেয়ে এবং অসুর ও সিংহকে ধরলে প্রতিটি পুজো পিছু বিসর্জন দেওয়া হয় সাতটি করে প্রতিমা। শহরে বারোয়ারি ও বাড়ির পুজো মিলিয়ে মোট সংখ্যা ১৭০০। এর ওপর রয়েছে ছোটবড় সাড়ে ৫ হাজার লক্ষ্মীপ্রতিমা। আড়াই হাজার কালী প্রতিমা, হাজার খানেক জগদ্বাত্রী প্রতিমা ও ছটপুজোর জন্য জলে ফেলা হাজার মেট্রিকটন কলা, ফুল ও বেলপাতা। সবমিলিয়ে ৩০ দিনের ব্যবধানে চার চারটি বড় উত্সব গভীর সংকটে ফেলছে গঙ্গাকে।
 
ভারতের নদীগুলিকে বাঁচাতে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি নদী পরিবেশ রক্ষা পরিষদ গঠন করেছিলেন। কলকাতায় পরিষদের অফিস বন্ধ ২০০২ থেকে। তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গাতীরের সৌন্দর্যায়ন হলেও নাব্যতা বাঁচাতে হালফিলে তেমন তৎপরতা চোখে পড়ে না। মাঝেমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য প্রশাসন কিছু কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করে, কিন্তু সেগুলি আদৌ মানা হয় কী না সেবিষয়ে নজরদারি করা যায় না পরিকাঠামোর অভাবে। এভাবেই চলতে থাকলে গঙ্গার নাব্যতা ২২ ফুট থেকে কমে আগামী ১০ বছরের মধ্যে মাত্র ৫ ফুটে দাঁড়াবে বলে পরিবেশবিদদের আশঙ্কা। সেক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবে ফেরি ও জাহাজ পরিষেবাও।

 

.