মমতার সঙ্গে সংঘর্ষে গৌতম, বিধাননগরে 'রমলা-অসীম' দ্বিফলায় ভোটে বামেরা
বিধাননগরে অসীম দাসগুপ্ত ও রমলা চক্রবর্তী- এই দ্বিফলা অস্ত্রে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে চাইছে সিপিআইএম। গত শনিবার সিটিজেন ফোরাম গঠন করে কংগ্রেস ও বাম দলগুলিকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন সিপিআইএম নেতা গৌতম দেব। রবিবার বিধাননগর ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, 'এই সিপিআইএম আর ঘুমন্ত সিপিআইএম নেই'। তৃণমূলকে হারাতে সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে তাঁরা। আর তাই শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের মডেলে বিধাননগরে অসীম দাসগুপ্তকে মুখ করে ভোটের লড়াইয়ে নামলেন টিম গৌতম।
সল্টলেক: বিধাননগরে অসীম দাসগুপ্ত ও রমলা চক্রবর্তী- এই দ্বিফলা অস্ত্রে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে চাইছে সিপিআইএম। গত শনিবার সিটিজেন ফোরাম গঠন করে কংগ্রেস ও বাম দলগুলিকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন সিপিআইএম নেতা গৌতম দেব। রবিবার বিধাননগর ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, 'এই সিপিআইএম আর ঘুমন্ত সিপিআইএম নেই'। তৃণমূলকে হারাতে সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে তাঁরা। আর তাই শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের মডেলে বিধাননগরে অসীম দাসগুপ্তকে মুখ করে ভোটের লড়াইয়ে নামলেন টিম গৌতম।
৩ অক্টোবর বিধাননগর, বালি, আসানসোল এই তিন পুরসভার ভোট। বালি ছাড়া আসানসোল এবং বিধাননগর দুটি পুরসভাই পরিষদ চালাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। এবার বিধাননগরের সঙ্গে মিলেছে রাজারহাট পুরসভাও। তাই বামেদের পালে এবার হাওয়া আনতে সামনে এগিয়ে দেওয়া হল স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অসীম দাসগুপ্তকে। ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
ভোটের হাল ধরতে সিপিআইএম নেতার সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তী। রাজারহাটে ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়বেন রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক রবীন মণ্ডল।
রবিবার সল্টলেকে প্রার্থী ঘোষণার সময় গৌতম দেব বলেন, "সকাল থেকে উঠে রাত্রি পর্যন্ত থাকেন গরীব মানুষের সঙ্গে থাকেন রবীন মণ্ডল। তাঁকে সামনে রেখেই রাজারহাটে লড়বে বামেরা"। প্রার্থী তালিকায় মহিলা ও সংখ্যালঘুদের প্রার্থীদের ওপরও জোড় দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন আবাসন মন্ত্রী গৌতম দেব এদিন বলেন, "৩২ নম্বর ওয়ার্ডে অসীম দাসগুপ্ত। ৩৩ রমলা চক্রবর্তী। অসীম দাসগুপ্তর নেতৃত্বে এই ভোটটা লড়বে বামফ্রন্ট। রমলা চক্রবর্তি সঙ্গে থাকবেন। সল্টলেকের মত জায়গায়, রাজারহাটের মত জায়গায় উন্নয়নের প্রশ্নে নতুন ইন্টারভেনশন হওয়ার জন্যই আমরা অসীম দাসগুপ্তকে সামনে রেখে নির্বাচন লড়ব"।
বহিষ্কৃত নেতা তাপস চ্যাটার্জি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "হেভিওয়েট লাগবে না, বিপ্লব চক্রবর্তী ইজ এনাফ টু টেক কেয়ার অব তাপস"। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন গৌতম দেব। তিনি বলেন, " ও সমস্ত লোককে চটিয়েছে। আমাদের তো কিছু করার নেই। হানিমুন ইজ ওভার! এবার সংঘর্ষে যাব"।
ভোটের সন্ত্রাস ও বাইক বাহিনী প্রসঙ্গে দেবের মুখে 'অসুর বানী', "একবার মানুষ যদি রুখে দাঁড়ায়, ওসব বাইক টাইক উড়ে চলে যাবে। বেশি মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরবেন না, মোটর সাইকেল বাড়ি পর্যন্ত ফিরতে না পারলে দায়িত্ব আমার না"।