WB Governor: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে থোড়াই কেয়ার, মধ্যরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের
WB Governor: গতকাল শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজভবনের সামনে ধরনা ও আর্থিক বাধা সৃষ্টির হুঁশিয়ারিও দেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্যপালকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন সি ভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়, রাজভবনের নির্দেশিকার পাল্টা কড়া চিঠি বিকাশ ভবনের
রাজ্যের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যলায়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক কাজল দে-কে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল। গতকাল মধ্যরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে অস্থায়ী উপাচার্যকে দ্রুত দায়িত্ব নিতে বলেন। সূত্রের খবর নিয়োগ ফাইলে সই করার সময় হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে। আইনে নেই এমন কিছু করা উচিত নয়। শিক্ষা দফতর কেন অন্য রকম কথা বলছে?
উল্লেখ্য, গতকাল শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজভবনের সামনে ধরনা ও আর্থিক বাধা সৃষ্টির হুঁশিয়ারিও দেন। এদিন মমতা বলেন, 'শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন রাজ্যপাল। আমরা এই চক্রান্ত মানব না। উনি কী ভাবছেন? মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও বড়? সে উনি বড় হতেই পারেন।' মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'একজন রাজ্যপাল বসে আসেন এবং সব বদলে দিয়েছেন। হৃদয় বিদারক সব কাজ করছেন। বলেছি, এসব করবেন না। টাকা দেব আমরা আর মধ্যরাতে যাদবপুরের উপাচার্য বদলে গেল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বদলে দিচ্ছেন'।
গতকাল আর্থিক অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি কখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করি না। অথচ আজ যাঁরা গুরুজন হয়ে সেখানে গিয়েছেন তাঁরা বাংলাকে চেনেন না। উনি একটাও বিল ফেরত পাঠান না, ফেলে রাখেন। এবার রাজভবনের সামনে ধরনা দিতে বাধ্য হব। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে দেব না। জোর করে বাংলার উন্নয়নকে রোখা যাবে না। বাংলাকে আঘাত করলে বাংলা প্রত্যাঘাত করতে পারে।'
কয়েকদিন আগেই রাজ্যপাল এক নির্দেশিকায় জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের নির্দেশ রেজিস্ট্রার বা কোনও আধিকারিক মানতে পারবেন না। বরং মেনে চলছে হবে উপাচার্যের নির্দেশ। যদি এমন কোনও নির্দেশ এসে পৌঁছয় তাহলে তিনি তা উপাচার্যের অনুমোদন সাপেক্ষে পালন করবেন। সেই চিঠিরই পাল্টা দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যর তরফে একপ্রকার সোজাসুজিই বলা হয় রাজভবন বা রাজ্যপালের ওই ধরনের কোনও চিঠি দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই।