Dhankhar-Mamata: ''চলতি সপ্তাহেই আলোচনা চাই'', মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ডাক ধনখড়ের
রাজ্যপালের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যা সমাধান হতে পারে, তাই আলোচনার প্রয়োজন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ''বিভিন্ন প্রশ্নে রাজ্যের উত্তর মেলেনি। এর ফলে সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে'' এই মর্মেই আলোচনার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। চলতি সপ্তাহে আলোচনার অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। চলতি সপ্তাহের যে কোনও দিন রাজ্যপালে আসতে পারেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি টুইটও করেছেন রাজ্যপাল। টুইটে তিনি লিখেছেন, “সম্প্রতি বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে তথ্য চেয়েও পাইনি। এইসব তথ্য না পেলে রাজ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। যেটা এড়িয়ে চলা আমাদের দুজনেরই সাংবিধানিক কর্তব্য। আপনার তরফ থেকে দীর্ঘদিন কোনও জবাব না পাওয়ায় আমার সব আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাই আপনার কাছে আমার অনুরোধ চলতি সপ্তাহের যে কোনও দিন রাজভবনে এসে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসুন।”
WB Guv:
Hon’ble CM Mamata Banerjee has been urged to make it convenient for an interaction at Raj Bhavan anytime during the week ahead as lack of response to issues flagged has potential to lead to constitutional stalemate which we both are ordained by our oath to avert. 1/2 pic.twitter.com/HZrERPLzoJ
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 17, 2022
সাম্প্রতিক সময় দুই তরফের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ধনখড়ের অপসারন চেয়ে সোজা প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করছেন তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ-বিজেপিশাসিত রাজ্যের রাজ্যপালদের অতিসক্রিয়তা নিয়েও সরব হয়েছেন। রাজ্যপালের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যা সমাধান হতে পারে, তাই আলোচনার প্রয়োজন।
অন্যদিকে, মমতাকে পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আনায় রাজ্যপালকে পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ''রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধাবিক পদ। মুখ্যমন্ত্রী একটি নির্বাচিত পদ যার হাতে রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব। রাজ্যপাল এই সাংবিধানিক পদকে ধুলোয় লুটিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেই পারেন, ডেকেও পাঠাতে পারেন। কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে টুইট করাটা অসভ্যতা, অশালীনতা। চিঠি পাঠিয়েছেন ঠিকই আছে, কিন্তু টুইট করলেন কেন? উনি কী বলতে চাইছেন উনি জমিদার? টুইটই যদি করবেন তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসার মানে কি? এটা তো সৌজন্য নয়।''
পাল্টা বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ''এটা তো প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। সাংবিধানিক প্রধান প্রশাসনিক প্রধানকে ডেকে পাঠিয়েছেন। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। যেখানে প্রশাসন ও সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, বহু বিষয় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।''