"আমার হৃদয় রক্তাক্ত", বিধানসভার বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন রাজ্যপাল
আমার হদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, আমি মর্মাহত, ইতিহাসে এমন কোনওদিন হয়নি: রাজ্যপাল
নিজস্ব প্রতিবেদন: নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল বিধানসভা। বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভায় পৌঁছলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পরও খোলা হল না ভবনের দরজা। ঘটনায় ফের হতাশ হলেন ধনখড়। বুধবার রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় যাবেন তিনি। সেই মতোই এদিন সকালে বিধানসভায় পৌঁছে যান রাজ্যপাল। তবে ২নং দরজা ছাড়া সংসদ ভবনের সমস্ত দরজা বন্ধ ছিল। এদিন বন্ধ থাকা ৩নং নম্বর গেটের সামনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন রাজ্যপাল, কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। গোটা ঘটনায় ফের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। শেষে পায়ে হেঁটেই অন্য রাস্তা দিয়ে ভিতরে যান রাজ্যপাল।
সাংবিধানিক প্রধানের জন্য ৩ নম্বর দরজা থাকা বরাদ্দ থাকা সত্বেও সাধারণ দরজা অর্থাৎ ২নং দরজা দিয়েই এদিন বিধানসভায় ঢোকেন জগদীপ ধনখড়। শিকল দেওয়া গেটের সামনে দাঁড়িয়েই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ ধনখড়। রাজ্যপালের প্রশ্ন "কেন বন্ধ বিধানসভার গেট"। এদিন তিনি বলেন, "অধিবেশন বন্ধ মানে সংসদভবন বন্ধ নয়।" এদিন গোটা ঘটনাকে লজ্জার ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের দাবি "গণতন্ত্র এভাবে চলতে পারে না স্পিকারকে আগে থেকে জানানো সত্বেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।" এদিন তিনি আরও বলেন "আমার হৃদয়ে আজ রক্তাক্ত হয়েছে। ইতিহাসে কোনওদিন এমন হয়নি, আমি অবাক হয়েছি।"
আরও পড়ুন: দু'দিন মুলতুবি বিধানসভা, তারমধ্যেই বিধানসভায় যাচ্ছেন রাজ্যপাল
বৃহস্পতিবার সমস্ত দিক থেকে বন্ধ করে রাখা হয় বিধানসভার ভবন। খোলা রাখা হয় শুধুমাত্র ২ নং দরজা। এমনকী ভিতরে ঢুকতে চাইলে আটকে দেওয়া হয় রাজভবনের ফটোগ্রাফারকেও। উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেও কোনও আধিকারিকের দেখা পাননি রাজ্যপাল।বন্ধ ছিল উপাচার্যের ঘরও। এর আগেও বহুবার একই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। জেলায় জেলায় রাজ্যপালের বৈঠকেও উপস্থিত থাকেননি কোনও আধিকারিকরা। বারবার একই আচরণে কার্যত ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাজ্যাপাল। বারংবার 'অপমানে' সরব হয়েছেন জগদীপ ধনখড়। সবমিলিয়ে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে সরগরম বর্তমান পরিস্থিতি। বলার অপেক্ষা রাখে না, রাজ্য-রাজ্যপালের যে সংঘাত চলছে বিধানসভা ইতিমধ্যেই তারই অংশ হয়ে দাড়িয়েছে।