রাজ্য সরকারকে তিরস্কার হাইকোর্টের, তদন্তের নির্দেশ সিআইডিকে
সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা এবং কমল গায়েনের খুনের মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৩ মার্চ তদন্তের প্রথম রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগকে। শুধু তা-ই নয়, তদন্ত প্রক্রিয়ার উপরে নজরদারি চালাবে হাইকোর্ট।
সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা এবং কমল গায়েনের খুনের মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৩ মার্চ তদন্তের প্রথম রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগকে। শুধু তা-ই নয়, তদন্ত প্রক্রিয়ার উপরে নজরদারি চালাবে হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের দেওয়ানিদিঘিতে নিহত হন সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা এবং কমল গায়েন। ওই ঘটনায় ৪ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও বাইশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এমনকি ধৃতদের নিজেদের হেফাজত নয়, জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিস। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। কেস ডায়রি জমা দিলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছিল না। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট একঘণ্টার মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। নির্দিষ্ট সময়েই ফ্যাক্স মারফত রিপোর্ট পৌঁছয় হাইকোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শরীরের ভেতর ও বাইরের আঘাতের জন্যই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এই রিপোর্ট কেন এতদিন দেওয়া হয়নি এবং আদালতের নির্দেশে একঘণ্টায় দেওয়া হল তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল এবং বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী তেইশ মার্চ আদালতে সিআইডিকে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রথম দফায় রাজ্য সরকারকে তিরস্কারের পর এদিন হাই কোর্টের তরফে আরও একটি তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করা হয়। প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা রাখতেই এই নির্দেশ দেওয়া হল বলে জানান বিচারপতিরা।