পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন
সদ্য সমাপ্ত পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টের তিরস্কারের মুখে পড়লেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার । ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর জানতে চান, ভোট করার ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে- হাইকোর্টের এই নির্দেশর পরও কী করে কমিশনার বললেন যে ভোট করতে তিনি অসহায়?
ব্যুরো: সদ্য সমাপ্ত পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টের তিরস্কারের মুখে পড়লেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার । ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর জানতে চান, ভোট করার ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে- হাইকোর্টের এই নির্দেশর পরও কী করে কমিশনার বললেন যে ভোট করতে তিনি অসহায়?
পুর নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে এভাবেই সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। পুরভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা, সেবিষয়ে স্ববিরোধী মন্তব্য করেছেন স্বয়ং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এর জেরেও বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এবার পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায়কে।
মঞ্জুলা চেল্লুর (প্রধান বিচারপতি)- বলেছেন ''সংবাদপত্রে খবর পড়ে আমি বিস্মিত। ৭টি পুরসভার ভোট নিয়ে মামলায় জানিয়েছিলাম নির্বাচনের দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে। অথচ পরদিন নির্বাচন কমিশনার মন্তব্য করলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিনি অসহায়। ভেবেছিলাম পরদিনই তাঁকে আদালতে ডেকে পাঠাবো।''
কমিশনের আইনজীবী নয়ন বিহানি অবশ্য দাবি করেছেন ''সংবাদপত্রে ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়েছে।''
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির প্রতিক্রিয়া - ''নির্বাচন কমিশনার অসহয়তা প্রকাশ করলে সাধারণ মানুষের কী হবে? সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে উত্সাহিত করা কমিশনের দায়িত্ব। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটা করে থাকে। অথচ পুরভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এরকম একটাও বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল না।''
কমিশনের আইনজীবী আদালতে স্বীকার করেন, বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও তা খুবই অল্প সংখ্যায়।
কমিশনের অদক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। বলেন,
নির্বাচন কমিশনই যদি অদক্ষতা দেখায় তবে শেষ তার প্রভাব পড়ে ভোটারদের ওপরেই।