পরিচিতদের হাতেই বারবার আক্রান্ত মহানগরের নাগরিকরা, একের পর এক বিশ্বাসভঙ্গে চমকে উঠছে কলকাতা
বার বার ঘর থেকেই আঘাতটা আসছে। কখনও পরিচারক, কখনও আবার বাড়িতে মেরামতির কাজে আসা বহু পরিচিত মানুষ। বারবারই বিশ্বাসভঙ্গে চমকে উঠেছে কলকাতা। গত দশ বছরে মহানগরে একের পর এক খুন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ঘরের শত্রুই কী ভীষণ।
বার বার ঘর থেকেই আঘাতটা আসছে। কখনও পরিচারক, কখনও আবার বাড়িতে মেরামতির কাজে আসা বহু পরিচিত মানুষ। বারবারই বিশ্বাসভঙ্গে চমকে উঠেছে কলকাতা। গত দশ বছরে মহানগরে একের পর এক খুন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ঘরের শত্রুই কী ভীষণ।
২০০৪ সালের ১২ অগাস্ট আলিপুরে নিজের বাড়িতেই খুন হন ললিতা দেবী গোয়েঙ্কা। চুরির জন্য খুনের ঘটনায় ধরা পড়ে বাড়ির দীর্ঘদিনের পরিচারক।
২০০৫ সালের ১৮ই এপ্রিল ক্যামাক স্ট্রিটের অভিজাত আবাসনে খুন হন বাঙ্কা দম্পতি। ওই জোড়া খুনের ঘটনাতেও শেষপর্যন্ত বাড়ির পরিচারককেই গ্রেফতার করে পুলিস।
ওই বছরই তেসরা মে এসএন ব্যানার্জি স্ট্রিটের আবাসনে গৃহকর্ত্রী দ্বীপ্তি ডিক্রুজকে খুন করেন পরিচিত এক কাঠমিস্ত্রি।
২০০৭-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে খুন হন একান্ন বছরের রবীন্দ্র কাউর লুথরা। তদন্তে সামনে আসে, টাকার লোভে নিজের মনিবকে খুন করেছে বিহার থেকে আসা পরিচারক নিকু যাদব।
২০০৮-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি গড়িয়াহাটে পরিচারকের হাতে খুন হন গৃহকর্ত্রী উষা চোখানি।
২০১১-এর ১৪ এপ্রিল তিলজলায় খুন হন বছর পঞ্চান্নর অলোক রায় ও তাঁর বোন সুচিত্রা রায়। ওই খুনেও ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে উঠে আসে বাড়ির পরিচারকের নাম।
ওই বছরই ২৭ জুলাই মানিকতলায় ডাকাত দের হাতে খুন হন নব্বই বছরের বৃদ্ধা শান্তা ভট্টাচার্য। ডাকাত দলে থাকা বাড়ির দীর্ঘদিনের পরিচারককে চিনে ফেলেছিলেন শান্তা দেবী।
২০১২-এর বেহালায় একই বাড়ির চারজনের খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধে। পরে তদন্তে জানা যায় খুনের সঙ্গে বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করা কেবল সংস্থার কর্মীদের যোগসাজশের কথা।
চলতি বছরেই ........ফ্ল্যাটের মধ্যে খুন হন সুলোচনা চারি। তদন্তে উঠে আসে পরিচারকই মূল চক্রী।
পরিচিত মানুষের সেই বিশ্বাসভঙ্গের কথাটাই আরও একবার উঠে এসেছে লেক মার্কেটের বৃদ্ধ খুনের ঘটনা।