কী অবস্থায় রয়েছে এখন পোস্তা উড়ালপুল? ঘুরে দেখল ২৪ ঘণ্টা
একত্রিশে মার্চ ২০১৬। ঠিক এক বছর আগে। এমনই এক গরমের দুপুরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পোস্তা উড়ালপুল। তারপর এক বছর ধরে দাঁড়িয়ে তার কঙ্কাল। কী হবে এই ভগ্নদূতের ভবিষ্যত্? উত্তর নেই কারও কাছেই। যেন লোহার তৈরি এক জিজ্ঞাসাচিহ্ন। সে নিজেও কি নিরাপদ? ঘুরে দেখলেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি।
ওয়েব ডেস্ক: একত্রিশে মার্চ ২০১৬। ঠিক এক বছর আগে। এমনই এক গরমের দুপুরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পোস্তা উড়ালপুল। তারপর এক বছর ধরে দাঁড়িয়ে তার কঙ্কাল। কী হবে এই ভগ্নদূতের ভবিষ্যত্? উত্তর নেই কারও কাছেই। যেন লোহার তৈরি এক জিজ্ঞাসাচিহ্ন। সে নিজেও কি নিরাপদ? ঘুরে দেখলেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি।
মসৃণ ট্রাফিকের স্বপ্নের অপমৃত্যু। প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেছে একবছর আগেই। দাঁড়িয়ে রয়েছে, প্রাণহীন কঙ্কাল। তাঁর পাঁজরে পাঁজরে বাসা বেঁধেছে ক্ষয়রোগের ঘুণপোকা। সেই অসুখেরই সুলুক সন্ধান করল ২৪ ঘণ্টা।
পিলার 31S
পিলারের আড়াআড়ি স্তম্ভদুটির প্রতিটিকে বলে পায়ার। তার ওপর সমান্তরালে শোয়ানো থাকে পায়ার ক্যাপ। এখানে পায়ার ক্যাপ, পায়ার থেকে থেকে অনেকটা বেরিয়ে গেছে।
পিলার 33S
এই পিলারে পায়ার ক্যাপ একদিকে ঝুলে গেছে। অর্থাত্ ওপর দিয়ে কোনও ভারী গাড়ি গেলে ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা।
পিলার 28S
পিলার 36S
এই দুটি পিলারেই পায়ার ক্যাপ একদিকে বেঁকে গেছে।
পিলার 44
এই পিলারের দুটি পিয়ারের মাঝখানে রয়েছে এই লোহার বিম। সেই বিম নৌকার মতো বেঁকে গেছে।
পিলার 46S
পিলার41S
নির্মাণের ত্রুটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ফ্লাইওভারের সর্বত্র। অধিকাংশ পায়ার ক্যাপের কভারই নেই। সেই ফাঁক গলে পায়ার ক্যাপে বাসা বেঁধেছে পায়রা। পায়রার বিষ্ঠার অ্যাসিডে একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছে লোহার কাঠামো। ইতিউতি বোল্ট ক্ষয়ে গিয়ে ভিতরে গর্ত হয়ে গেছে।
ঘুণ ধরা ঝুরঝুরে কাঠের মতো উড়ালপুলের লোহার খাঁচা। আর তার নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে ব্যস্ত সময়। ব্যস্ত ট্রাফিক। ট্যাক্সিস্ট্যান্ড। শহর একটু কেঁপে উঠলেই ফের একবার ঘনিয়ে আসতে পারে বিপর্যয়।
মার দিয়া যায়, কে ছোড় দিয়া যায়? পোস্তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। একাধিক কমিটি গড়া হয়েছে। কেউই স্পষ্ট রিপোর্ট দিতে পারেনি।