Diamond Harbour Model For Old Age Pension: ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্যভাতার আবেদনে বিপুল সাড়া, পেরোতে পারে লাখের সীমা
Diamond Harbour Model For Old Age Pension: করোনা ঠেকাতে হইচই ফেলে দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার মডেল। এবার বার্ধক্যভাতায় চালু করা হল ডায়মন্ড হারবার মডেল
প্রবীর চক্রবর্তী: ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্যভাতার আবেদনে বিপুল সাড়া। জমা পড়ল রেকর্ড আবেদন। যারা এতদিন বার্ধক্য়ভাতা পাননি তাদের বার্ধ্যভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টার্গেট ছিল ৭০ হাজার। সেই আবেদন নেওয়ার জন্য খোলা হয় ক্যাম্প। সেই ক্যাম্পে এখন আবেদনের ঢল।
আরও পড়ুন-রাজ্যজুড়ে নামছে তাপমাত্রা; আজ মরসুমের শীতলতম দিন, বৃষ্টির সম্ভাবনা এইসব জেলায়
তৃণমূল সূত্রে খবর ক্যাম্প শুরু হওয়ার ৬ দিনের মধ্যে জমা পড়েছে ৪৭ হাজার আবেদনপত্র। আবেদেন আরও কিছুদিন নেওয়া হবে। ফলে আবেদনপত্রের সংখ্যা লক্ষাধিক হতে পারে। তবে সংখ্যা ছাড়ালেও সবাইকেই ভাতা দেওয়ার চেষ্টা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
ফলতায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সত্তর হাজার মানুষকে বার্ধক্যভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে ক্যাম্প শুরু করে দেখা যাচ্ছে পুরোনদের সঙ্গে নতুনরাও আবেদন করছেন। পুরোনদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪৭ হাজার মানুষ আবেদন করেছেন। অন্যদিকে নতুনদের আবেদনের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও আবেদন জমা নেওয়ার জন্য ক্যাম্প ৭ দিন বা তার বেশি সময় চলবে। ফলে অনুমান করা হচ্ছে সাতটি বিধানসভায় আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। জানা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন আবেদনকারীর সংখ্যা এক লক্ষের কাছাকাছি হলেও ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনা ঠেকাতে হইচই ফেলে দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার মডেল। এবার বার্ধক্যভাতায় চালু করা হল ডায়মন্ড হারবার মডেল। এর জন্য খোলা হল ২০৩টি শিবির। প্রবীণ যেসব মানুষ বার্ধক্যভাতা পাওয়ার যোগ্য তাদের সাহায্য করার জন্যই ওইসব শিবির খোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবার সংসদীয় এলাকাতেই এমন ৭০ হাজার মানুষ রয়েছেন যারা বার্ধক্যভাতা পাওয়ার যোগ্য। এদের অনেকেই বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু ভাতা পাননি। তাদের সহায়তা করার জন্যই ওইসব শিবির খোলা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব প্রবীণ মানুষ শিবিরে আসতে পারবেন না তাদের বাড়ি গিয়ে যেন ওই ভাতা পেতে যেন সহায়তা করা হয়। এখানেই শেষ নয়, যদি দেখা যায় শিবির করার পরও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ বার্ধক্যভাতা পাননি তাহলে তাদের আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের আর্থিক সাহায্য করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাত্ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সব যোগ্য় প্রবীণদের বার্ধক্যভাতা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডায়মন্ড হারবারে যে এরকম একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই খবর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রচার চালাবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কিছুদিন আগে এটাই জোর দিয়ে বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি ঘোষণা করেন, ডায়মন্ডহারবারের বার্ধক্যভাতা পাওয়ার যোগ্য মানুষদের কাছে ওই ভাতা পৌঁছে দিতে সবরকম চেষ্টা তিনি করবেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)