জঙ্গলমহলের মন্ত্রী-বিধায়কদের সাবধান করল গোয়েন্দা দফতর
ওড়িশার বিধায়ক অপহরণের ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছে এরাজ্যের গোয়েন্দা বাহিনী। তাই কোনও ঝুঁকি না-নিয়ে জঙ্গলমহলের মন্ত্রী-বিধায়কদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ওড়িশার বিধায়ক অপহরণের ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছে এরাজ্যের গোয়েন্দা বাহিনী। তাই কোনও ঝুঁকি না-নিয়ে জঙ্গলমহলের মন্ত্রী-বিধায়কদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই জঙ্গলমহলে শাসকদলের মন্ত্রী বিধায়কদের সতর্ক করা হয়েছিল। এবার ওড়িশায় দুই ইতালীয় নাগরিক এবং বিধায়কের অপহরণের পর ফের সতর্ক করা হল তাঁদের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর এবং রাজ্য গোয়েন্দা দফতর একযোগে এই সতর্কবার্তা জারি করেছে। রাজ্যের যে তিন জেলার মধ্যে জঙ্গলমহলের অবস্থান, সেই পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা পুলিস প্রশাসনকেও সতর্ক করা হয়েছে। সতর্কের তালিকায় রয়েছেন
পশ্চিম মেদিনীপুর
শ্রীকান্ত মাহাত-শালবনী
চূড়ামণি মাহাত-গোপীবল্লভপুর
দুলাল মুর্মু-নয়াগ্রাম
ডাঃ সুকুমার হাঁসদা-মন্ত্রী, ঝাড়গ্রাম
মৃগেন মাইতি-মেদিনীপুর সদর
বাঁকুড়া
দেবলীনা হেমব্রম-রানীবাঁধ
উপেন কিস্কু-রাইপুর
মনোরঞ্জন পাত্র-তালডাংরা
পুরুলিয়া
সুশান্ত বেসরা-বান্দোয়ান
শান্তিরাম মাহাত-মন্ত্রী, বলরামপুর
নেপাল মাহাত-বাঘমুন্ডি
ধীরেন চন্দ্র মাহাত-জয়পুর
এই মন্ত্রী, বিধায়ক ছাড়াও সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যে নেতারা সরকারি নিরাপত্তা পান তাঁদের ক্ষেত্রে কতগুলি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নিরাপত্তার এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-
সন্ধ্যার পর কোনও সভা বা বৈঠক করা যাবে না।
কোথাও যেতে হলে পুলিস-প্রশাসনকে আগে থেকে জানাতে হবে।
আগে থেকে ঠিক করা কোনও কর্মসূচি হঠাত্ করে বদলানো যাবে না।
কোনও ঘরোয়া বৈঠক করার আগে কাদের সঙ্গে এবং কোথায় বৈঠক হবে তা পুলিসকে জানাতে হবে।
যাতায়াতের পথ সম্পর্কে আগে থেকে কাউকে কোনও তথ্য দেওয়া চলবে না।
নির্দিষ্ট কোনও তথ্য না থাকলেও আদতে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়না পুলিস এবং গোয়েন্দা বাহিনী। সেই কারণেই জঙ্গলমহলের ভিআইপি-দের নিরাপত্তার জন্য এই ব্যবস্থা।