সংশয়ের মুখে শহরের নিরাপত্তা

এক সপ্তাহে ৪ বার জনতার আক্রমণের শিকার হতে হল পুলিসকে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই গণ্ডগোল সামাল দিতে ছিটে গিয়েছিল পুলিস। পরিবর্তে মারমুখী জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় তাদের। এই প্রবণতাটাই আশঙ্কার বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Updated By: Feb 14, 2012, 12:58 PM IST

এক সপ্তাহে ৪ বার জনতার আক্রমণের শিকার হতে হল পুলিসকে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই গণ্ডগোল সামাল দিতে ছিটে গিয়েছিল পুলিস। পরিবর্তে মারমুখী জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় তাদের। এই প্রবণতাটাই আশঙ্কার বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১২: এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দমদমের চাষিপাড়া। খুনের অভিযোগ তুলে মহিলার দেহ আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য  করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে। গাড়ি ভাঙচুর করে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
 
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১২: পথ দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিস সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আরামবাগের বাহালা গ্রাম। ট্রলি ভ্যান-লরির সংঘর্ষে এক মহিলার মৃত্যু হয়। আরামবাগ থানার পুলিসকে মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন তিন পুলিসকর্মী। এরপর খানাকুল থানা ও আরামবাগ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিস নিয়ে ঘটনাস্থলে যান আরামবাগের এসডিও অরিন্দম নিয়োগী। সেখানে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিস।
 
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১২: নো এন্ট্রি জোনে গাড়ি ঢোকানোর প্রতিবাদ করেছিলেন পুলিসকর্মীরা। অভিযোগ, সেই কারণেই এক কনস্টেবল এবং এক গ্রিন পুলিসকর্মীকে বেধড়ক মারধর করেন  কংগ্রেস কর্মীরা। গত সাতই ফেব্রুয়ারি এমনটাই ঘটেছে হাওড়ার সালকিয়ার বিরাডিহিতে। আহত পুলিস কনস্টেবল গ্রিন পুলিসের কর্মীকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়।
 
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১২: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে ক্যানিংয়ের জীবনতলায় গিয়েছিল পুলিস। সেসময় তাদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর লোকজন। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়ি। মারধর করা হয় এক এসআই, দুই কনস্টেবল ও পুলিসের গাড়ির চালককে। সেসময়েই ছিনতাই করা হয় পুলিসের একটি রাইফেল। পরে ক্যানিংয়ের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাই হওয়া রাইফেল উদ্ধার করে। 
 
মাত্র একসপ্তাহের মধ্যেই  ৪টি পৃথক ঘটনায় আক্রান্ত হল পুলিস। গণ্ডগোল থামাতে গিয়েই  জনতার হাতে আক্রান্ত হলেন পুলিস কর্মীরা। পরপর চারটি ঘটনাতেই দেখা গেল, বিশৃঙ্খল জনতা নিজেদের হাতেই আইন তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালাল। এই প্রবণতাকে  ষথেষ্ট আশঙ্কার বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

.