মেডিকার দুই অভিযুক্ত চিকিত্সককে জেরা পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিসের
মেডিকায় চিকিত্সার গাফিলতিতে সুনীল পাণ্ডের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিত্সক সুনীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ দাসকে জেরা করল পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিস। আজ সন্ধেয় দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয় দুজনকে। সূত্রের খবর, সনীলের দেহের ময়না তদন্তের পর শরীরে কোনও স্টেন্ট মেলেনি বলে জানিয়েছিলেন অটোপসি বিশেষজ্ঞরা। স্টেন্ট আদৌ বসানো হয়েছিল কিনা তা দুই চিকিত্সকের কাছে জানতে চান তদন্তকারীরা।
ওয়েব ডেস্ক: মেডিকায় চিকিত্সার গাফিলতিতে সুনীল পাণ্ডের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিত্সক সুনীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ দাসকে জেরা করল পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিস। আজ সন্ধেয় দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয় দুজনকে। সূত্রের খবর, সনীলের দেহের ময়না তদন্তের পর শরীরে কোনও স্টেন্ট মেলেনি বলে জানিয়েছিলেন অটোপসি বিশেষজ্ঞরা। স্টেন্ট আদৌ বসানো হয়েছিল কিনা তা দুই চিকিত্সকের কাছে জানতে চান তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, এ প্রশ্নের জবাবে পুলিসের দিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন দুই চিকিত্সক। স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। তা খুঁজে না পেলে নতুন করে পোস্ট মর্টেম করুন অটোপসি সার্জেনরা। জেরার মুখে মন্তব্য অভিযুক্ত চিকিত্সকদের। এদিন সুনীল পাণ্ডের চিকিত্সা সংক্রান্ত ৫৮৭ পাতার রিপোর্ট পূর্ব যাদবপুর থানায় জমা দেয় মেডিকা কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি ফুটেজও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এবার দফায় দফায় মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ও এক অর্থপেডিক সার্জেনকে তলব করা হবে।
এদিকে অ্যাপোলোর পর মেডিকা কাণ্ডের তদন্তেও বিশেষ কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার। তিন সদস্যের এই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কমিটিতে আছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএমের কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক এবং মেডিসিন বিভাগের প্রধান। স্বাস্থ্য ভবনে সুনীল পাণ্ডের পরিবারের তরফে জমা দেওয়া চিকিত্সা নথি খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।