নন্দীগ্রাম 'ভাইজান'কে ছেড়ে Mamata-র বিরুদ্ধে 'খেলা' জমাল CPM

মৌমিতা চক্রবর্তী

Updated By: Feb 23, 2021, 09:42 PM IST
নন্দীগ্রাম 'ভাইজান'কে ছেড়ে Mamata-র বিরুদ্ধে 'খেলা' জমাল CPM

মৌমিতা চক্রবর্তী

নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে (Nandigram) বিধানসভায় ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamta Banejee)। ওই আসনটি আব্বাস সিদ্দিকির দলকে বামেরা ছেড়ে দিল বলে সূত্রের খবর। নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিতে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তার জেরে এক ধাক্কায় বদলে যাচ্ছে নন্দীগ্রামের ভোটের অঙ্ক।        

দক্ষিণবঙ্গে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ (Left-Congress-ISF) জোটের আসন রফা চূড়ান্ত। তারপরই এল বড় চমক। ১৯৫১ সাল থেকে নন্দীগ্রাম আসনে বামেদের রেকর্ড ঈর্ষণীয়। সেই ধারায় এবার ইতি। সূত্রের খবর, ভোটের কৌশল হিসেবে আসনটি আব্বাস সিদ্দিকিকে ছেড়ে দিতে চলেছে সিপিআই। নন্দীগ্রামে প্রায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘুর বাস। ফলে, আইএসএফ প্রার্থী দিলে তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। নন্দীগ্রামে ৯বার জিতেছে সিপিআই। সিপিএম ১ বার। কংগ্রেস ৬ বার জিতেছে। ২০০৯ সালের উপনির্বাচন থেকে নন্দীগ্রামে জিতে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সেই আসনটি কেন আইএসএফ-কে (ISF) ছেড়ে দিচ্ছে বামেরা? এর নেপথ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু ভোটের অঙ্ক। নন্দীগ্রামে প্রায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। ওই ভোট যে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ভাষণে। ওই সভায় বিজেপি নেতা বলেছিলেন, 'পদ্ম তো ২ লাখ ১৩ হাজারের ভরসায়। যাঁরা জয় শ্রী রাম বলেন, তাঁরাই ২ লক্ষ ১৩ হাজার। ৬২ হাজারেও সিঁধ কাটব।' আইএসএফ নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিলে নানা প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আইএসএফ কি সংখ্যালঘু ভোটভাগে সক্ষম হবে? তার ডিভিডেন্ড জোট না পেয়ে কি বিজেপি পাবে? সেই ইঙ্গিত দিয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান,'ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টাও কেউ কেউ করতে পারেন।'               

আরও পড়ুন- কোর্টকে ভালো করে বোঝান, নিয়োগ-স্থগিতাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে Partha

নন্দীগ্রামের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দল ছাড়ার পর সেখানে সভা করেন মমতা। আর ওই সভাতেই তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেছেন, এবার নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। তারপর থেকেই বিজেপি রণংদেহি। মমতাকে আধ লাখ ভোটে হারানোর হুঙ্কার দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতারাও আকছার বলছেন,'ভবানীপুরে হারবেন বলেই নিরাপদ আসন খুঁজে বেড়াচ্ছেন। শুভেন্দুও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, 'শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে মাননীয়াকে।'   

আরও পড়ুন- প্রশিক্ষণের সময়ে বন্দুকে বিস্ফোরণ, Jammu-তে প্রাণ হারালেন বাঙালি জওয়ান

.