Janatar Darbar: : দ্রুত মিলবে সমাধান, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফের চালু হচ্ছে জনতার দরবার
Janatar Darbar: একজন হাজার হাজার পুলিস নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন রাজ্য দর্শনে। তাতেও ব্যালটবাক্স রক্ষা করতে পারছেন না। সেখানেও চাপ্পা, কারচুপি। অভিষেকের ওই যাত্রায় যে কোনও কাজ হবে না সেই বার্তাই মুখ্যমন্ত্রী দিয়ে দিলেন। অর্থাত্ যাকিছু করতে হবে তা মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমেই করতে হবে। এই বার্তাই দিয়ে দেওয়া হল।
সুতপা সেন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফের শুরু হচ্ছে জনতার দরবার। পঞ্চায়েতের আগে আগামী রবিবার থেকে ফের কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসছে জনতার দরবার। যে কেউ গিয়ে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। সমস্যা গুরুতর হলে দেখাও করতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। জনতার দরবারের দায়িত্বে থাকছেন সিএমও-র কয়েকজন অফিসার।
আরও পড়ুন-প্রাক্তন স্ত্রীকে ফের বিয়ের প্রস্তাব, রাজি না হওয়ায় ঘরে ঢুকে একের পর এক গুলি যুবকের
করোনার আগে জনতার দরবার চলত। টানা ৮ বছর ধরে চলেছে ওই দরবার। এবার তার ফের ফেরানো হচ্ছে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বহু চিঠি আসে মানুষের সমস্য়া নিয়ে। ফলে চাপ বাড়ছে সেখানে। মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনে য়ে অফিস সেখানে আগে সরাসরি তাদের অভিযোগের কাথা জানানো যেত। করোনার সময় স্বাভাবিক ভাবেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বেশ সমস্য়া পড়েছেন। কারণ আগে খুব সহজে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি ক্লাবে আপাতত ওই অফিস চালু হবে। নবান্নের কয়েকজন আধিকারিক এর দায়িত্বে থাকবেন। আগে অবস্য আইপিএস অফিসার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ওই অফিস চলত।
জনতার দরবারের ফের চালু হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। একসময় দিল্লির সম্রাটের নির্দেশ দিল্লির ১০ কিলোমিটার বাইরে কার্যকর হতো না। এখন তৃণমূলের সেই অবস্থাই হয়েছে। একজন হাজার হাজার পুলিস নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন রাজ্য দর্শনে। তাতেও ব্যালটবাক্স রক্ষা করতে পারছেন না। সেখানেও চাপ্পা, কারচুপি। অভিষেকের ওই যাত্রায় যে কোনও কাজ হবে না সেই বার্তাই মুখ্যমন্ত্রী দিয়ে দিলেন। অর্থাত্ যাকিছু করতে হবে তা মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমেই করতে হবে। এই বার্তাই দিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু বাস্তব হল এই দল ওই জনতার দরবারকে মানুষ গুরুত্ব দেবে না।
সমালোচনা করা হয়েছে সিবিএমের তরফে। তৃণমূল মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। এই দলটিকে ক্ষমতায় এনে যে কোনও কাজ হচ্ছে না তা বোঝা যায় তাই দিদিকে বলো, বাংলার গর্ব, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়, এসব করা হয়েছে। কালিয়াগঞ্জের মেয়েটি কী বাংলার মেয়ে নয়! এসব নানা রকম চলল। কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। এসব নতুন কিছু নয়। বাড়িটা হয়ে গেল সরকারি অফিস।
বিরোধীদের সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, সুজনবাবু এসব কী বলছেন? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা জ্যোতি বসুকে কেউ কখনও দেখেছেন জনতার দরবারে? জেলায় জেলায়, মহকুমায় মহকুমায় ঘরে মানুষের কতা শোনেন মুখযমন্ত্রী। অফিসটাকে জেলায় তুলে নিয়ে যান। মানুষ দেখতে পাচ্ছে তাদের কথা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সমস্যার সমাধান হচ্ছে। সিপিএম আমলে এসব ভাবতে পারা যেত? মানুষের দরবারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে এদের এত জ্বালা কেন? বিধানসভায় একটাও আসনে নেই। তাই নিয়ে হেন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা।