২০১৬ সাল থেকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ, আদালতে কবুল করল ভারতে JMB প্রধান ইজাজ
ইজাজকে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ইজাজের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুল এপিক কার্ড, ৬টা মোবাইল, ট্যাব। সেগুলিকে ডিকোডিং করছেন তদন্তকারীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৮ সালে খাগড়াগড়কাণ্ডে মূল চক্রী কওসরকে জেল থেকে ছাড়ানোর প্ল্যান করেছিল ভারতের জেএমবি প্রধান ইজাজ। এই প্ল্যানে তার সঙ্গে ছিল আরও ৬ জন। তারা আগেই ধরা পড়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ইজাজের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা।মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে একথা জানায় এসটিএফ। আদালতে ইজাজ নিজে জানায়, ২০১৬ সাল থেকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তার বাড়ি আদতে বীরভূমে। ইজাজকে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
ইজাজের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুল এপিক কার্ড, ৬টা মোবাইল, ট্যাব। সেগুলিকে ডিকোডিং করছেন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, ইজাজ খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল চক্রী কওসরের সঙ্গে বিশেষ ‘অ্যাপ কোড ল্যাঙ্গুয়েজ’-এ কথা বলত। একইভাবে যোগাযোগ রাখত সালাউদ্দিনের সঙ্গেও। এলইডি-সহ ছোটো বড় বিস্ফোরক তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ছিল ইজাজ।
২০১২ সাল থেকে জেএমবি-র প্রতিষ্ঠাতা সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ইজাজের। ২০১৭ সালে কওসর ইজাজকে ‘আমির’ বানানোর জন্য প্রস্তাব করে।
জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের ভারত শাখার 'আমির' ছিল ইজাজ। 'আমির' মানে প্রধান। বোধগয়া বিস্ফোরণ, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ সহ ভারতে জেএমবি-র একাধিক নাশকতামূলক কাজের 'মাথা' ছিল এই ইজাজ।