Jnaneswari Express Amritabha Chowdhury: জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে অমৃতাভ চৌধুরী মৃত না কি জীবিত? অবশেষে রহস্যের কিনারা করল CBI
DNA পরীক্ষায় রহস্য উন্মোচন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বয়সের বিষয়ে নিশ্চিত হতে করা হয় ওসিফিকেশন টেস্টও।
পিয়ালি মিত্র: ২০১০-এর জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনায় (Jnaneswari Express Train Derailment) পাথুরিয়ঘাটা এলাকার বাসিন্দা অমৃতাভ চৌধুরী (Amritabha Chowdhury) কি সত্যি মারা গিয়েছেন? তাহলে যে ব্যক্তি নিজেকে অমৃতাভ বলে দাবি করছেন, তিনি কে? অবশেষে রহস্যের কিনারা করল সিবিআই (CBI)।
সিবিআইয়ের (CBI) কাছে ওই যুবক এবং 'আসল' অমৃতাভর বাবার দাবি করেন, একটি মিসড কল সূত্রে তাঁদের আলাপ হয়। এরপর ধীরে ধীরে ওই যুবকের প্রতি বৃদ্ধের পুত্রস্নেহ তৈরি হয়। ছেলের মৃত্যুর পর থেকে স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই ওই যুবককে একপ্রকার ‘দত্তক’ নেন বৃদ্ধ। ২০১৭-তে অমৃতাভর পরিচয়ে দিয়ে তাঁকে কলকাতার পাথুরিয়ঘাটার বাড়িতে নিয়ে যান। আত্মীয় -রিজন ও প্রতিবেশীদের জানান, দুর্ঘটনার 'ছেলে'র স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে।
জ্ঞানেশ্বরীর রেল দুর্ঘটনায় (Jnaneswari Express Train Derailment) আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল মৃত অমৃতাভ চৌধুরীর (Amritabha Chowdhury) পরিবার। তাঁর দিদি চাকরিও পান। ‘মৃত’ অমৃতাভ কীভাবে 'জীবিত' হয়ে ফিরে এলেন? লোকজনের সন্দেহ হয়। রেল দফতরে খবর যায়। রেল অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান চালায়। তারপর রহস্য উদঘাটনে নামে সিবিআই (CBI)। গত বছর জুন মাসে অভিযোগ দায়ের হয়। পরিচয় নিশ্চিত হতে DNA টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়। বয়সের বিষয়ে নিশ্চিত হতে করা হয় ওসিফিকেশন টেস্টও। রিপোর্ট আসতেই রহস্যের কিনারা হল।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে অমৃতাভর (Amritabha Chowdhury) অভিভাবকদের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হয়। DNA রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। অর্থাৎ অমৃতাভর অভিভাবকদের সঙ্গে ওই যুবকের ডিএনএ মেলেনি। এরপর সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আসল তথ্য স্বীকার করেন, 'নকল' অমৃতাভ এবং 'আসল' অমৃতাভর বাবা। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, যে যুবক এতদিন অমৃতাভর পরিচয় নিয়ে ছিলেন, তিনি আসলে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে আদালতে গোটা বিষয়টি জানিয়েছে সিবিআই (CBI)। মামলাটি ক্লোজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।