জমি জটে আটকে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো

জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পে জমি জট না কাটলে মার্চের পর আর কাজ এগোনো যাবেনা। মেট্রো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এ কথা জানিয়ে দিল প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। তারাতলার পর মাটির নিচ দিয়ে যে প্রস্তাবিত মেট্রো পথ যাবে, তার কোনও জমিই রেলের নয়। তাই রুট ম্যাপও তৈরি করতে পারেননি আরভিএনএল ইঞ্জিনিয়াররা।

Updated By: Feb 8, 2012, 01:13 PM IST

জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পে জমি জট না কাটলে মার্চের পর আর কাজ এগোনো যাবেনা। মেট্রো কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এ কথা জানিয়ে দিল প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। তারাতলার পর মাটির নিচ দিয়ে যে প্রস্তাবিত মেট্রো পথ যাবে, তার কোনও জমিই রেলের নয়। তাই রুট ম্যাপও তৈরি করতে পারেননি আরভিএনএল ইঞ্জিনিয়াররা।
প্রকল্পটির উদ্বোধন হয় ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। কাজ শুরু সে বছরই ২৯ ডিসেম্বর। তারপর কেটে গেছে ১ বছর ২ মাস। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২৬১৯ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়ে গেছে ১৬৫ কোটি। অথচ গতিপ্রকৃতি যা, তাতে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো রেল আদৌ হবে কি না তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। প্রথমে জোকার ব্রতচারী আশ্রমের জমিতে শিলান্যাস ঘিরে বিতর্ক। তারপর জোকা-মোমিনপুর ট্রাম লাইনের বাধা।
দুই বাধা কাটিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে ২০১১ সালের ১৭ মে। জোকা থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত ৯.৫ কিলোমিটার মেট্রো যাবার কথা মাটির ওপর দিয়ে এলিভেটেড করিডোরের মাধ্যমে। বসানোর কথা ৯৪টি পিলার। ইতিমধ্যেই বসে গেছে বা বসানো হচ্ছে ৭৭টি। পাঠকপাড়া পেরোলেই এই কর্মব্যস্ততা উধাও। কারণ তারপর কোন পথে মেট্রো যাবে, সেটাই ঠিক হয়নি। তিনবার রুট বদল হয়েছে। তাও নির্দিষ্ট করা যায়নি রুট ম্যাপ।

তারাতলায় রয়েছে ভারত সরকারের মিন্ট। তার লাগোয়া মাঝেরহাট স্টেশন। সেটা পেরোলেই সেনাবাহিনীর অর্ডন্যান্স ডিপো। ৬টি সরকারি অফিস, বেশ কিছু বহুতল। খিদিরপুরের পরের প্রস্তাবিত স্টেশন হেস্টিংস। যেখানে সেটি তৈরি হবার কথা, সেখানে সেনাবাহিনীর ফোর্ট উইলিয়াম। তাই কোথাও একফোঁটা জমি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই ঝুঁকি নিয়ে ম্যাপই আঁকেননি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়াররা।
 
জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রোপথের মোট দৈর্ঘ্য ১৬.৭৫ কিলোমিটার। মোট স্টেশন ১৩। এলিভেটেড করিডোরের ওপর থাকবে ৮টি স্টেশন। বাকি ৫টি থাকবে মাটির নিচে। যে পথের মোট দৈর্ঘ্য ৭.২৫ কিলোমিটার। পদে পদে বাধা এই বাকি অংশটিকেই চূড়ান্ত অনিশ্চিত করে তুলেছে। তা কার্যত স্বীকার করেও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০১৫`র মধ্যে কাজ শেষ হবে। কি ভাবে? নির্দিষ্ট উত্তর মেলেনি।

.