জন বার্লাকে শো-কজ, কেড়ে নেওয়া হল ক্ষমতা

জিএটিএ বিতর্কের জেরে আঞ্চলিক সভাপতি জন বার্লার ক্ষমতা কেড়ে নিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। বার্লাসহ পাঁচ নেতাকে শো-কজ করেছে পরিষদের ওয়ার্কিং কমিটি। জিএটিএ নিয়ে মোর্চা ও জন বার্লার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তার কোনও বৈধতা নেই বলে জানিয়েছেন পরিষদের রাজ্য সভাপতি বীরসা তিরকে।

Updated By: Nov 2, 2011, 10:48 PM IST

জিএটিএ বিতর্কের জেরে আঞ্চলিক সভাপতি জন বার্লার ক্ষমতা কেড়ে নিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। বার্লাসহ পাঁচ নেতাকে শো-কজ করেছে পরিষদের ওয়ার্কিং কমিটি। জিএটিএ নিয়ে মোর্চা ও জন বার্লার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তার কোনও বৈধতা নেই বলে জানিয়েছেন পরিষদের রাজ্য সভাপতি বীরসা তিরকে। জিএটিএ বিতর্কের জেরে কড়া ব্যবস্থা নিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। জিএটিএ গঠন করে তাতে তরাই ও ডুয়ার্সের তিনশো নিরানব্বইটি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, মোর্চার এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিলেন পরিষদের নেতা জন বার্লা। পরিষদের শীর্ষ নেতৃত্ব এই চু্ক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছিল। এই বিতর্কের জেরেই বুধবার বৈঠকে বসেছিল বিকাশ পরিষদের ওয়ার্কিং কমিটি। বৈঠকে জন বার্লার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার  সিদ্ধান্ত নিয়েছে  কমিটি। বার্লাসহ কয়েকজন নেতাকে শো-কজ করে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদিবাসী বিকাশ পরিষদের আঞ্চলিক সভাপতি হিসেবে মোর্চার সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন জন বার্লা। ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার ফলে বার্লার করা চুক্তিও বৈধতা হারিয়েছে বলে দাবি পরিষদের রাজ্য কমিটির সভাপতি বীরসা তিরকের। জন বার্লা, তেজ কুমার টোপ্পোর মত নেতাদের সঙ্গে মোর্চার এই আঁতাত কী করে হল তাও খতিয়ে দেখবে পরিষদ।
জিটিএ-তে তুরাই ও ডুয়ার্সের মৌজাগুলির অন্তর্ভুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। পরিষদকে পাশে পেতেই জিএটিএ-র প্রস্তাব দিয়েছিল মোর্চা। কিন্তু আদিবাসী বিকাশ পরিষদ নেতৃত্বের কড়া অবস্থানের জেরে আপাতত মোর্চার সেই কৌশলও বিশ বাঁও জলে।  

.