উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে নীরব, যাদবপুর কর্তৃপক্ষ মেনে নিল পড়ুয়াদের বাদবাকি অধিকাংশ দাবি
যাদবপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবার ছাত্রী নিগ্রহের তদন্ত কমিটি পুনর্গঠনের দাবি মেনে নিল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশ শর্তই মেনে নিয়ে ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মূল দাবির বিষয়ে নিরুত্তর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
কলকাতা: যাদবপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবার ছাত্রী নিগ্রহের তদন্ত কমিটি পুনর্গঠনের দাবি মেনে নিল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশ শর্তই মেনে নিয়ে ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মূল দাবির বিষয়ে নিরুত্তর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
নিগৃহীতা ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। তারপরেই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠনের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয় যাদবপুরে। কিন্তু ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে উপাচার্য জানিয়ে দেন কমিটিতে কোনও রদবদল করা হবে না।
কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত জানার পরেই সে রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর। শুরু হয় ঘেরাও। পুলিশ ঢোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আক্রান্ত হন ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবাদ-আন্দোলনে সরগরম হয় রাজ্য। কিন্তু তদন্ত কমিটি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর দেড় মাস কেটে গেলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা এখনও সরব। সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কটেরও ভাবনাচিন্তা চলছে। এই অবস্থায় তদন্ত কমিটি পুর্নগঠনের সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে জারি হয়েছে আবেদন পত্র। তাতে বলা হয়েছে-
ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনে ২০১৩-র আইন অনুযায়ী আইসিসি কমিটি পুর্নগঠনের কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
কমিটির সদস্যদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে জানানো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলমালের ঘটনায় বেশ কিছু বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রদের গ্রেফতার করেছিল পুলিস। তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, পুলিসকে সেই অনুরোধ করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে স্মারকলিপিতে থাকা অধিকাংশ দাবিই শেষপর্যন্ত মেনে নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে
ছাত্রছাত্রীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।