সরতেই হবে উপাচার্যকে, যাদবপুরে চলছে আমরণ অনশন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন এবার নতুন মাত্রা পেল। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয়েছে আমরণ অনশন। পড়ুয়াদের সাফ কথা, সরতেই হবে উপাচার্যকে।
গত কয়েক মাসে কী দেখেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়! নতুন বছরেও জারি পড়ুয়াদের আন্দোলন। দাবি একটাই, চাই উপাচার্যের পদত্যাগ। এই দাবিকে সামনে রেখে সোমবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমরণ অনশনে বসেছেন ১২ জন পড়ুয়া। সময় যত গড়াচ্ছে, যাদবপুরে ততই যেন বাড়ছে আন্দোলন-বিক্ষোভের তীব্রতা। হোক কলরব-এই স্লোগান তুলে রাস্তায় নেমে যে প্রতিবাদের শুরু, তা বিভিন্ন রূপে বারবার সামনে এসেছে। কখনও নেওয়া হয়েছে গণভোট। প্রতিবাদী মহামিছিল, একের পর গণকনভেনশন, গণভোট, প্রতীকী অনশন, সমাবর্তন বয়কটের পরেও গদি ছাড়তে চাননি উপাচার্য। স্বীকার করতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রায় শূন্য। এবার তাই আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন পড়ুয়ারা। যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি যতদিন না উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী পদত্যাগ করছেন ততদিন অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
ইঞ্জিনিয়ারিংই হোক বা কলা বিভাগ- ৯৭ শতাংশ পড়ুয়া ভোট দিয়ে রায় দিয়েছেন, উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন অভিজিত্ চক্রবর্তী। তাঁকে সরে যেতে হবে। সমাবর্তনেও এক ছবি। গো-ব্যাক, শুনতে হয়েছে উপাচার্যকে। স্টেজে উঠে একের পর এক ছাত্রছাত্রী মেডেল-সার্টিফিকেট নিতে অস্বীকার করেছেন। তার পিছনেও কারণ একটাই। উপাচার্যকে বয়কট। অথচ যাঁর বিরুদ্ধে এত আন্দোলন-বিক্ষোভ, সেই অভিজিত্ চক্রবর্তী অবশ্য নিজের পদ ছাড়তে নারাজ।
এখন প্রশ্ন, পড়ুয়াদের আমরণ অনশন কী এবার পারবে তাঁদের দাবি পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে?