একই পুলিসের দুই মুখ যাদবপুরে
কার্টুন কাণ্ডে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিস। রাজনৈতিক চাপের কারণেই পুলিস গ্রেফতার করেছিল অধ্যাপককে, এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠেছে। কিন্তু ওইদিন যাদবপুর পূর্ব থানার পুলিস সঠিক ভূমিকা পালন করেনি, এমন অভিযোগও তুলছেন আইনজীবীদের একাংশ। ফলে কার্টুনকাণ্ডে নিজেদের ভূমিকার জন্য এখন কাঠগড়ায় পুলিসও।
কার্টুন কাণ্ডে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিস। রাজনৈতিক চাপের কারণেই পুলিস গ্রেফতার করেছিল অধ্যাপককে, এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠেছে। কিন্তু ওইদিন যাদবপুর পূর্ব থানার পুলিস সঠিক ভূমিকা পালন করেনি, এমন অভিযোগও তুলছেন আইনজীবীদের একাংশ। ফলে কার্টুনকাণ্ডে নিজেদের ভূমিকার জন্য এখন কাঠগড়ায় পুলিসও।
কার্টুনকাণ্ডে তৃণমূল সমর্থকরাই মারধর করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতেই অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু যে অভিযোগের ভিত্তিতে, এবং যেভাবে পুলিস অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে, তাতে আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, পুলিস সেদিন সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। পুলিসের যা যা করা দরকার ছিল, তা সেদিন করা হয়নি।
পুলিস ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার না করলেও পারত। পুলিস গ্রেফতার না করে মামলা শুরু করতে পারত। থানা থেকে পুলিসের উচিত ছিল অধ্যাপককে জামিনের কথা বলা। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, অধ্যাপককে মারধরের অভিযোগে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ওই রাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অধ্যাপক পুলিসকে জানালেও অধ্যাপকের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়নি।
ওই অধ্যাপক জানিয়েছিলেন, তাঁকে প্রাণহানির ভয় দেখিয়ে জোর করে মুচলেকা লিখতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও তাদের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারাই দেয়। এত গুরুতর অভিযোগ থাকলেও জামিন অযোগ্য ধারা দেয়নি পুলিস।
ফলে সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় তাদের ভূমিকার জন্য পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিসই এখন কাঠগড়ায়।