রাজীবের তুলনা টেনে সুবীরেশকে অন্যত্র নিয়ে জেরার পক্ষে মত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
আপনারা কোন পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিল্লি, অসম বা ভুবনেশ্বরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন? যেমন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
বিক্রম দাস: 'সহযোগিতা না করলে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করুন। তারপর আমি তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেব।' রাজীব কুমারের তুলনা টেনে সুবীরেশ ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে সাফ মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এদিন আদালতে সিবিআই জানায়, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। জেলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জন্যেই সম্প্রতি তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। অন্য কোনও মামলায় তিনি যুক্ত আছেন কি না, তাঁরও খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। সিবিআইয়ের এই বক্তব্যের পরই বিচারপতি বলেন, তিনি যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করুন। আপনারা কোন পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিল্লি, অসম বা ভুবনেশ্বরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন? যেমন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
যার উত্তরে সিবিআই জানায়, সেটা বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে না নিলে তথ্য জানা সম্ভব নয়। সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, জেলে কতক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন? বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমি সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে মুখ খোলার আবেদন জানিয়েছিলাম। তিনি মুখ খোলেননি। আপনারা সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তারপর আমি তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেব। পাশাপাশি, এটাও জানান, একই ধরনের নির্দেশ মানিক ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রেও দিতে হবে। এমনকি এই জন্য দরকারে সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবচ খারিজের জন্যও আবেদন করার কথা বলেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের কথায়, তুমি ব্রাজিলের জার্সি পরে আছো বলে তুমি নম্বর পাবে, আর যে আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে সে নম্বর পাবে না সেটা হয় না। তোপ দাগেন, দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যর ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে। অন্যদিকে আদালতকে সিবিআই জানায়, মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে ভুয়ো সুপারিশ প্রাপ্ত ১৮৩ জনের তালিকা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। ৩ দিনের মধ্যে ওইসব ভুয়ো শিক্ষকের কতজন, কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছে তাদের নাম জেলা স্কুল পরির্দশকদের কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন, 'দ্রুত উঠে আসছে, ভারতকে নেতৃত্ব দেবে বাংলা', ভূয়সী প্রশংসায় নয়া রাজ্যপাল