Calcutta High Court: হাইকোর্টে এজলাস বয়কটে আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার
হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। সেই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশনও।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: এজলাস বয়কট, বিক্ষোভ। হাইকোর্টে ঢুকতে বাধা আইনজীবীদের? আদালত অবমাননার রুল জারি করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সঙ্গে নির্দেশ, এজলাসের বাইরে সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে। মামলাকারীদের কাছে থাকা সব তথ্য জমা দিতে হবে আদালতে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ। সেই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশনও। ফলে আপাতত বিচারপতি মান্থার এজলাসে কোনও মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিষয়টি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাড়া মেলেনি পাঁচ মাসেও, শিল্প টানতে জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
গতকাল, সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের আইনজীবীরা। এদিন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও শামিম আহমেদকে ডেকে পাঠান বিচারপতি মান্থা। এরপর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ গ্রহণ করে আদালত আবমাননার রুল জারি করেন তিনি। কেন? বিচারপতি মান্থার মতে, 'এজলাস বয়কটের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করেছেন আইনজীবী। হিংসাত্মক মনোভাব দেখিয়েছে'।
এদিকে আইনজীবীদের নাম উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির কাছে হলফনামা দিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁরাই নাকি অন্য আইনজীবীদের আদালতে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন! স্রেফ এজলাস বয়কট আর বিক্ষোভ নয়, যোধপুর পার্কে বিচারপতির মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টারও পড়েছিল। পোস্টারে বিচারপতির ছবির লেখা ছিল, 'শেম'। পাশে লেখা, 'বিচারব্যবস্থার নামে লজ্জা! রাজশেখর মান্থা'।