খাপ পঞ্চায়েতের আঁচ খাস কলকাতায়

খাপ পঞ্চায়েতের আঁচ খাস কলকাতায়। বাড়ির ঝামেলায় স্থানীয় ক্লাব, পাড়াপড়শিদের বিধান। ঘাড়ধাক্কা দিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বেলেঘাটার CIT বিল্ডিংয়ে। শ্বশুর-শাশুড়ির অভিযোগ, বৌমা ও তাঁর বাপের বাড়ির ইন্ধনেই একাজ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, বৌমা চৈতালি কর্মকার মানসিক রোগী। একথা লুকিয়ে তাঁদের বড় ছেলে শুভেন্দুর সঙ্গে দু হাজার ছয়ে চৈতালির বিয়ে দেয় মেয়ের বাড়ির লোক। কয়েক বছর সংসার করার পরই চৈতালি স্বেচ্ছায় বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতে শুরু করে। এমনকি ছেলের জন্মের পর তাকে শ্বশুরবাড়িতেই রেখে সে চলে যায় বলে দাবি তাঁদের। মাস তিনেক ধরে হঠাত্‍ বেলেঘাটার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন চৈতালি। শ্বশুর-শাশুড়িকে বাড়ি ছাড়তে চাপ দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। এলাকার ক্লাব ও স্থানীয় নেতাদের কাছে দরবার করে, মিথ্যে বুঝিয়ে তাঁদের হাত করে নেয় বৌমা। অভিযোগ তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির। তাঁদের বক্তব্য, এরপরই বাড়ি ছাড়ার ফতোয়া দেওয়া হয়। গতরাতে রীতিমতো মারধর করে তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।    

Updated By: May 24, 2017, 09:05 PM IST
খাপ পঞ্চায়েতের আঁচ খাস কলকাতায়

ওয়েব ডেস্ক : খাপ পঞ্চায়েতের আঁচ খাস কলকাতায়। বাড়ির ঝামেলায় স্থানীয় ক্লাব, পাড়াপড়শিদের বিধান। ঘাড়ধাক্কা দিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বেলেঘাটার CIT বিল্ডিংয়ে। শ্বশুর-শাশুড়ির অভিযোগ, বৌমা ও তাঁর বাপের বাড়ির ইন্ধনেই একাজ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, বৌমা চৈতালি কর্মকার মানসিক রোগী। একথা লুকিয়ে তাঁদের বড় ছেলে শুভেন্দুর সঙ্গে দু হাজার ছয়ে চৈতালির বিয়ে দেয় মেয়ের বাড়ির লোক। কয়েক বছর সংসার করার পরই চৈতালি স্বেচ্ছায় বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতে শুরু করে। এমনকি ছেলের জন্মের পর তাকে শ্বশুরবাড়িতেই রেখে সে চলে যায় বলে দাবি তাঁদের। মাস তিনেক ধরে হঠাত্‍ বেলেঘাটার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন চৈতালি। শ্বশুর-শাশুড়িকে বাড়ি ছাড়তে চাপ দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। এলাকার ক্লাব ও স্থানীয় নেতাদের কাছে দরবার করে, মিথ্যে বুঝিয়ে তাঁদের হাত করে নেয় বৌমা। অভিযোগ তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির। তাঁদের বক্তব্য, এরপরই বাড়ি ছাড়ার ফতোয়া দেওয়া হয়। গতরাতে রীতিমতো মারধর করে তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।    

ঘরছাড়া পচাত্তর ও পয়ষট্টি বছরের শঙ্কর ও কমলা কর্মকার রাতভর বসেই থাকেন রাস্তায়। বেলেঘাটা থানার কাছে বাস স্ট্যান্ডই ঠিকানা ছিল তাঁদের। বাড়ি ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ক্লাবের সদস্য এবং পড়শিদের বিরুদ্ধে। ছেলে বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়, অভিযোগ বৃদ্ধ দম্পতির। যদিও যার দিকে অভিযোগের আঙুল সেই চৈতালি কর্মকারের দাবি, তিনিই বছরের পর বছর শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার। তাঁর বাবাও এদিন মেয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। তাঁর দাবি, স্থানীয় তৃণমূল মহিলা সমিতিকে মেয়ের ওপর চলা অত্যাচারের অভিযোগ করা হয়েছিল। তাঁরাই বাড়ি এসে এই কাণ্ড ঘটায়।    

কেন আগ বাড়িয়ে ক্লাবের দাদাগিরি! কেন রাতদুপুরে দুই বয়স্ক মানুষকে এভাবে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে? প্রশ্ন স্থানীয়দেরই একাংশের। যদিও অভিযুক্ত ক্লাব কর্তাদের দাবি, বহুদিন ধরে শ্বশুর-শাশুড়িই অত্যাচার চালাচ্ছিলেন বৌমার ওপর। তার বিহিত করতেই এই পথ নিতে হয়।  

আরও পড়ুন, বারাসতে MBBS-এর জাল মার্কশিট চক্রের হদিশ

.