পুলিসের বলপ্রয়োগে উঠল আন্দোলন, হাইকোর্টে মামলা করার অনুমতি দিলেন প্রধান বিচারপতির
২০১৪ সালে যাঁরা প্রাথমিকে টেট পাস করেছেন, তাঁদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেকের করুণাময়ী।
অর্নবাংশু নিয়োগী: চারদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে থেকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছিল। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিস। থানায় তুলে নিয়ে যায়। রাস্তা থেকে সরিয়ে তুলে দেওয়া হয় আন্দোলন। এরপর রাতেই মিলল মামলা দায়েরের অনুমতি পেল প্রতিবাদকারী চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের না শুনেই মামলার রায় দিয়েছে একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেই রাতেই আদালতের কড়া নাড়ল আন্দোলনকারীরা। মামলা করার অনুমতি দিলেন প্রধাম বিচারপতি। শুক্রবারই মামলা দায়ের করবেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী এবং আজই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন, TET Qualifiers Agitation: হাইকোর্টের ধমকে কড়া পুলিস, উঠল অবস্থান! বদলাল কৌশলও...
উত্তেজনার পারদ চড়ছিল ক্রমশই। হাইকোর্টের নির্দেশের পর রণকৌশল পাল্টে ফেলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু পুলিস মানল কই। ২০১৪ সালে যাঁরা প্রাথমিকে টেট পাস করেছেন, তাঁদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সল্টলেকের করুণাময়ী। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন৷ তাই তাঁদের সরানোর জন্য মহিলা পুলিসও নিয়ে আসা হয়েছিল৷ রীতিমতো চ্যাংদোলা করে বহু চাকরিপ্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পুলিস৷
ধর্না না তুললে আইনানুগ ব্যবস্থা, আন্দোলনকারীদের আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুলিস। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা বজায় রাখার জন্য বৃহস্পতিবারই পুলিসকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ সেই নির্দেশের পর থেকেই টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল পুলিস৷ শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ শুরু হয় অভিযান৷
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের দাবি আইনসম্মত নয়। অন্যায্য দাবি করছেন তাঁরা। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করেন তিনি। পর্ষদ সভাপতি সাফ বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ নীতি আইন মেনেই নিয়োগ করতে হবে। এমনকি তিনি এও বলেন যে, ২০১২ সাল থেকে টেট পাস সকল প্রার্থী যদি বয়স থেকে থাকে, তবে সবাই-ই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর ৪০ বছর বয়স হয়ে গিয়ে থাকলে, সেক্ষেত্রে বয়সসীমায় ছাড় দিলে তাঁরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তবে সেই ছাড় দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
আরও পড়ুন, TET Qualifiers Agitation: মধ্যরাতে অভিযান! করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের তুলে দিল পুলিস
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)