কাউয়ের কোটিপতি হওয়ার বিশদ তথ্য-- এক্সক্লুসিভ
তিন বছরে কোটিপতি। এমনটাই অভিযোগ শম্ভুনাথ কাউয়ের বিরুদ্ধে। নিছকই একজন কাউন্সিলর। কিন্তু যে এলাকার কাউন্সিলর, সেই এলাকা আক্ষরিক অর্থেই সোনার খনি। একদিকে ই এম বাইপাসের সিলভার স্প্রিং প্রজেক্ট ( SILVER SPRING PROJECT)। একদিকে দিগন্ত বিস্তৃত ধাপার মাঠ। একের পর এক ভেড়ি। কোনোটা নামে, কোনেটা বেনামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে শম্ভুনাথ কাউয়ের বিরুদ্ধে। ঠিক কোন পন্থায় কোটি টাকার পাহাড়ে বসলেন শম্ভুনাথ কাউ, তারই কিছু বিশদ তথ্য উঠে এসেছে ২৪ ঘণ্টার হাতে।
তিন বছরে কোটিপতি। এমনটাই অভিযোগ শম্ভুনাথ কাউয়ের বিরুদ্ধে। নিছকই একজন কাউন্সিলর। কিন্তু যে এলাকার কাউন্সিলর, সেই এলাকা আক্ষরিক অর্থেই সোনার খনি। একদিকে ই এম বাইপাসের সিলভার স্প্রিং প্রজেক্ট ( SILVER SPRING PROJECT)। একদিকে দিগন্ত বিস্তৃত ধাপার মাঠ। একের পর এক ভেড়ি। কোনোটা নামে, কোনেটা বেনামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে শম্ভুনাথ কাউয়ের বিরুদ্ধে। ঠিক কোন পন্থায় কোটি টাকার পাহাড়ে বসলেন শম্ভুনাথ কাউ, তারই কিছু বিশদ তথ্য উঠে এসেছে ২৪ ঘণ্টার হাতে।
পুলিসের সামনে দিয়ে বুক ফুলিয়ে ওরা হেঁটে চলে গেল
বাইট ২...শম্ভুনাথের দলবল ক্লাবের সামনে ইভটিজিং, মাতলামো করত
বাইট ৩...অধীর মাইতির মেয়ের বাইট
কিভাবে এত দাপট শম্ভুনাথ কাউয়ের? কিভাবে কাউন্সিলর হওয়ার তিন বছরের মধ্যে ফুলেফেপে উঠল তার নামে, বেনামের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট? এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের দূর্ণীতির কিস্যা।
১) গ্রাম বোঁইচতলা। থানা প্রগতি ময়দান। ওয়ার্ড ৫৮। ধাপার মাঠের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জমির অনেকগুলিই ছোট ছোট প্লটে বেনামে বিক্রি করা হয়েছে জুলাই ২০১০থেকে নভেম্বর ২০১২ র মধ্যে। প্লট পিছু ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা কাঠায় বিক্রি হয়েছে এইসব জমি। অভিযোগ বাসিন্দাদের। পৌরসভার খাতায় জমিগুলি আজও সরকারি সম্পত্তি। যদিও জমিতে তৈরি হয়েছে স্থায়ী একতলা, দোতলা বাড়ি। দোকান। গ্যারেজ। বস্তি।
২) এই জমি ছাড়িয়ে আরও একটু এগোলে বারো নম্বর রাস্তা। যা ধাপা ডাম্পিং গ্রাউন্ডের অংশ। রাস্তা জুড়ে আবর্জনার স্তুপ। যেখান থেকে হাসপাতালের বর্জ্য এবং সাধারণ বর্জ্য আলাদা করে ভাগ করা হয়। বাছাইয়ের পর বেশ কিছু আবর্জনা, যা বিক্রয়যোগ্য, তা অন্যত্র চলে যায়। কোথায় যায়? জানে না পুরসভা। সূত্র বলছে, সেগুলি সুকৌশলে সরিয়ে ফেলেন শম্ভুনাথ কাউ। তা বিক্রি করেন অন্যত্র। পুরসভার একসময়ের ব্যবহৃত, এখন বাতিল করা পুরনো চারটি ময়লা ফেলার গাড়ি এবং বর্তমানে ব্যবহৃত দুটি ময়লা ফেলার গাড়ি রোজ ঢোকে এলাকায়। গাড়িগুলির নম্বর
WB 03 B 7965
WB 03 B 8020
WB 03 B 8014
WB 03 B 8015
WB 03 B 8022
WB 03 B 8023
বাছাই করা বিক্রয়যোগ্য আবর্জনা নিয়ে গাড়িগুলি অন্যত্র চলে যায়। কোথায় যায়? খবর পৌঁছয় না কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগে।
৩) ধাপার মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র মাছের ভেড়ি। এরমধ্যে চারটি ভেড়ি বুজিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। বাসিন্দারা বাধা দেওয়ায় এখনও ভরাট করে প্রমোটিং হয়নি। বুধবারের আগে পর্যন্ত যার জেরে লাগাতার প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হত প্রতিবাদকারীদের। এগুলি হল..
বাদা ভেড়ি, ২৫ বিঘা
চাঁদের ভেড়ি, ১৮০ বিঘা
চড়কতলা ভেড়ি, ১২০ বিঘা
চকতলা বেড়ি, ৫০ বিঘা
এছাড়াও সন্ধে নামলেই গোটা এলাকার ইতিউতি বসা চোলাই মদের ঠেক, বাড়ি বা দোকান তৈরি করতে গেলে দশ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত তোলা, সবমিলিয়ে টাকা রোজগারে এলাকার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছিলেন শম্ভুনাথ কাউ। যাকে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট দেওয়া হয়েছিল মূলত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে। এই ওয়ার্ড ২০১০ সালের পুরভোটের আগে তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছিল না দলীয় নেতৃত্ব। একসময়ে সোমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শম্ভুনাথ কাউয়ের নাম তখন মমতা ব্যানার্জির কাছে সুপারিশ করেন শোভন বাবুই। যে শম্ভুনাথ কাউ এখন আক্ষরিক অর্থেই গলার কাঁটা কলকাতার মহানাগরিকের।