কলকাতায় কেএলও-র হদিশ পেলেন গোয়েন্দারা
জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণের পর আবার সামনের সারিতে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন ওরফে কেএলও। কেএলওর - কলকাতা কানেকশনের হদিশ পেলেন গোয়েন্দারা। হুমকি এসএমএস ছড়িয়ে টাকা আদায় করা হত কলকাতার বন্দর এলাকার মাটি ব্যবহার করে।গত ছমাস ধরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চিকিতসক, ব্যবসায়ী, চা বাগান মালিকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে হুমকি এসএমএস।
জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণের পর আবার সামনের সারিতে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন ওরফে কেএলও। কেএলওর - কলকাতা কানেকশনের হদিশ পেলেন গোয়েন্দারা। হুমকি এসএমএস ছড়িয়ে টাকা আদায় করা হত কলকাতার বন্দর এলাকার মাটি ব্যবহার করে।গত ছমাস ধরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চিকিতসক, ব্যবসায়ী, চা বাগান মালিকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে হুমকি এসএমএস।
আপনার সব তথ্য আমাদের নখদর্পনে। সংগঠনের স্বার্থে টাকা আপনাকে দিতেই হবে। সিদ্ধান্ত এখন আপনার। কোথায় টাকা দিতে হবে তা এসএমএসে দেওয়া ফোন নম্বরে ফোন করে জেনে নেবেন। প্রেরকের নাম হিসাবে কখনও ডি কোম্পানি কখনও আবার অন্য জঙ্গি সংগঠনের নাম লেখা থাকত। তিন মাস আগে আলিপুরদুয়ারে এক চিকিতসক অভিযোগ দায়ের করেন এসএমএস মারফত টাকা চাওয়ার বিষয়ে। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে জানা যায় কলকাতার বন্দর এলাকা থেকে এমন অজস্র এমএমএস পাঠানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। গোয়েন্দাসূত্রে খবর, আর্থিকভাবে সক্ষম হয়েই এবার পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটছে কেএলও জঙ্গিরা। ডি কোম্পানি, আলফাসহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের নামে টাকা আদায়ের আড়ালে কাজ করছে আদতে কেএলওর সংগঠনই। চলতি বছরে এপর্যন্ত পঁচিশ জনের বেশি কেএলও লিঙ্কম্যান ধরা পড়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে। ধৃতদের জেরা করে গোয়েনাদারা নিশ্চিত হুমকি এসএমএস পাঠিয়ে টাকা তুলছে কেএলওই। আর সেই টাকা আনতে গিয়েই ধরা পড়ছে কেএলওর অধিকাংশ লিঙ্কম্যান।
কিন্তু হঠাত করে কেন এত বাড়বাড়ন্ত কেএলওর?
দুহাজার তিন সালে ডিসেম্বরে ভুটানের বুককা পাহাড়ের অপারেশনের পর অনেকটাই থিতিয়ে যায় কেএলওর আন্দোলন। এরপর ইন্দো-ভুটান সীমান্ত অরক্ষিত থাকার সুবিধে নিয়ে ফের সক্রিয় হয়েছে কেএলওরা। মাওবাদীদের তুলনায় আত্মসমর্পণের পর রাজ্যে কিছুই সুযোগ সুবিধা পায়নি কেএলও জঙ্গিরা। উত্তরবঙ্গে কামতাপুর আবেগকে কাজে লাগিয়ে সেই সুযোগে নতুন করে সংগঠন সাজিয়েছে কেএলও শীর্ষ নেতারা। দুহাজার বারোর নভেম্বরে জলপাইগুড়িতে প্রকাশ্য সভায় মাওবাদী এবং কেএলওদের নিয়ে সরকারের দ্বিমুখী নীতির কড়া সমালোচনা করে কেএলও সংগঠকরা। নতুন সরকার আসার পর বেশ কয়েকজন কেএলও নেতাকে মুক্তি দেয়।
কেএলও সম্পর্কে সরকারের নরম মনোভাবকেও দায়ী করছেন অনেকে। জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণের পর আবার আলোচনায় কেএলও। গোয়েন্দাদের মাথাব্যাথা এই মুহূর্তে তিন মোস্ট ওয়ান্টেড --জীবন সিং, মালখান সিং এবং শ্যাম ওরফে ভাগ্নে।