ভাঁড়ার শূন্য, তাই খরচে লাগাম! বাজারে পড়ে রয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা
বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায়। তার আগে উন্নয়ন-গেরোয় পুরসভা। বহু দফতরের খরচে লাগাম জারি। খরচের জন্য টাকাই বা আসবে কোথা থেকে? কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে রয়েছে বড়সড় ফাঁক। বাজারে পড়ে আছে কোটি কোটি টাকা। যে টাকা উন্নয়নখাতে বরাদ্দ হচ্ছে, তাতেও উঠছে রাজনীতির অভিযোগ।
ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায়। তার আগে উন্নয়ন-গেরোয় পুরসভা। বহু দফতরের খরচে লাগাম জারি। খরচের জন্য টাকাই বা আসবে কোথা থেকে? কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে রয়েছে বড়সড় ফাঁক। বাজারে পড়ে আছে কোটি কোটি টাকা। যে টাকা উন্নয়নখাতে বরাদ্দ হচ্ছে, তাতেও উঠছে রাজনীতির অভিযোগ।
পুরসভা+ টাকা
খরচ হবে কত? তাতেও লাগাম । কলকাতা পুরসভায় নানা খাতে খরচের ক্ষেত্রে চল্লিশ, পঞ্চাশ এমনকি ষাট শতাংশও বেধে দেওয়া হয়েছে মাত্রা।
ভাঁড়ার শূন্য, তাই খরচে লাগাম!
পুরসভার যে যে বিভাগে খরচে লাগাম পরানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে,বস্তি দফতর, উদ্যান, স্বাস্থ্য, আলো, নিকাশি। কর সংগ্রহেও রয়েছে বড় ফাঁক। শুধু সম্পত্তিকর বাবদ বাজারে পড়ে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। লাইসেন্সখাতে বাজারে পড়ে রয়েছে ১৫৪ কোটি টাকা। যেগুলি থেকে মূলত পুরসভার আয়, তাতেই বড় ক্ষতির মুখে কেএমসি।
সামনে বিধানসভা ভোট। আরও বড় বালাই। উন্নয়নের কী হবে? এই চিন্তায়, টাকার দাবিতে পুরসভায় চলছে দরবার। মেয়র অবশ্য অভিযোগ কানেই তুলছেন না। বিরোধীদের অভিযোগ, তবে কি স্বৈরাচারী রাজত্ব চালাচ্ছেন মেয়র? তাঁর পছন্দমতোই পুরসভার সব টাকা খরচ হবে?
বরাদ্দ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে শাসক দলের মধ্যেও। তবে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না বরো চেয়ারম্যানরা। চলছে টাকার জন্য তাগাদা। কিন্তু হাত তুলে দিয়েছেন মেয়র পারিষদরাও। টাকাই যেখান নেই, তা দেওয়া হবে কোথা থেকে? খন প্রশ্ন, তাহলে উপায় কী? জনমোহিনী ভাবমূর্তি ধরে রাখলে কর আদায় হবে না। উন্নয়ন লাটে উঠবে। আবার, ভোটের আগে কর আদায় করতে নামলে প্রভাব পড়তে পারে ভোটবাক্সে। দুইয়ের মাঝে পড়ে থমকে উন্নয়ন। ব্যাহত হচ্ছে বস্তি উন্নয়ন, আলো, রাস্তার মতো সাধারণ নাগরিক পরিষেবা। এর জবাব কে দেবে?