East West Metro: নতুন বছরেই বউবাজারে বাড়ি তৈরি শুরু করছে কেএমআরসিএল
পর পর তিনবার বিপর্যয়ের জেরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে তিনবার বিপর্যয়ে খরচ বেড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোরও। এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: নতুন বছরেই শুরু হবে বউবাজারে বাড়ি তৈরির কাজ। ২০২৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই বউবাজারে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে কেএমআরসিএল। প্রাথমিকভাবে ২০১৯-এর বউবাজার বিপর্যয়ে যে বাড়িগুলি ভেঙে পড়েছিল, সেই বাড়িগুলি-ই পুনরায় তৈরির উদ্যোগ নিল কেএমআরসিএল। প্রথমে মোট ২৩টি বাড়ি তৈরি করা হবে।
প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে ফের বউবাজারে বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। এবার ফাটল দেখা যায় বউবাজারের মদন দত্ত লেনের ১০টি বাড়িতে। শুধু তাই নয়, ফাটল ধরে ১৮৫ এবং ১৮৫/১ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দুটি বাড়িতেও। ফাটলের জেরে ফের বাস্তুহারা-ভিটেহারা হয়ে পড়েন বউবাজারের বাসিন্দারা। পাঁচটি হোটেলে ১৩৬ জনকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়। মাটির উপর ও নীচে কেমিক্যাল গ্রাউটিংয়ের কাজ চলছে। সেইসময়ই আতঙ্কের বউবাজারে গেরো ভূগর্ভস্থ জল! মাটির নীচে আপত্কালীন যাতায়াতের রাস্তায় জল চুঁইয়ে বেরতে শুরু করতেই ফাটল দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে বার বার এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে মেট্রোর রুট বদল। কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ কেএমআরসিএল। মেট্রো কর্তাদের দাবি, দুটি মেট্রো টানেলের মাঝে আপত্কালীন যাতায়াতের রাস্তা তৈরির সময় জল বেরিয়েই বিপত্তি ঘটছে। এদিকে, পর পর তিনবার বিপর্যয়ের জেরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে তিনবার বিপর্যয়ে খরচ বেড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোরও। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। অন্যদিকে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রেন চলাচল। কিন্তু, মাঝে এই বউবাজার অঞ্চলেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি!
আরও পড়ুন, Gujarat Morbi bridge tragedy: পোস্তা বিতর্ক উসকে মোদীর 'অ্যাক্ট অফ ফ্রড'-এ মোদীকেই বিঁধল তৃণমূল!
৩ বার বিপর্যয়ের ফলে প্রকল্পের খরচ এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের ৩০ জুন এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হবে, এমনটা ধরে নিয়েই প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয় প্রায় ৮ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। কিন্তু বিপর্যয়ের ফলে সেই খরচ এখন পৌঁছেছে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়। তাও তৃতীয়বারের বিপর্যয়ের ফলে যে পরিমাণ খরচ বৃদ্ধি হয়েছে তা এখনও যুক্ত করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রায় সম্পূর্ণ এই প্রকল্প শেষ করার জন্য দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করার আর্জি জানিয়ে রেল মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছে কেএমআরসিএল।