Gujarat Morbi bridge tragedy: পোস্তা বিতর্ক উসকে মোদীর 'অ্যাক্ট অফ ফ্রড'-এ মোদীকেই বিঁধল তৃণমূল!
কেবল সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ব্রিজটি ভেঙে পরার কারণের তদন্ত করছে। ম্যানেজার সহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রবীর চক্রবর্তী: ইস্যু সেতু বিপর্যয়। আর সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এবার পালটা বিজেপিকে আক্রমণে বিঁধল তৃণমূল কংগ্রেস। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে ৬টি বছর। ২০১৬ সালে ভেঙে পড়েছিল পোস্তা উড়ালপুল। সেইসময় তৃণমূল সরকারকে উদ্দেশ করে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছিল বিজেপি। ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল, মাদারিহাটে ভাষণ দেওয়ার সময় পোস্তা সেতু ভেঙে পড়াকে 'অ্যাক্ট অফ ফ্রড' বলে উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই ভাষণের অংশ তুলে ধরে টুইট করে পালটা আক্রমণে তৃণমূল কংগ্রেস। গুজরাতের মোরবিতে কেবল সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মোদীর সেই 'অ্যাক্ট অফ ফ্রড' ভাষণের অংশ তুলে ধরে পালটা প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো পোস্ট করছেন তৃণমূলের সাংসদ-নেতারা।
Despite renovation the Morbi bridge in Gujarat it collapsed. The death toll is at 141.
Praying for the families of the deceased and injured.
Throwback video from Bengal elections….
Is it act of fraud ? And close to elections so Act of god ? @MamataOfficial @PMOIndia pic.twitter.com/MASG9osF3V
— Sushmita Dev সুস্মিতা দেব (@SushmitaDevAITC) October 31, 2022
রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবিতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি কেবল সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও বহু জনের কোনও খোঁজ নেই। বিভিন্ন উদ্ধারকারী দলগুলি এখনও বোট নিয়ে নিখোঁজ মানুষদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমেদাবাদ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ১৫০ বছরের পুরনো এই ব্রিজ। টানা ৭ মাস ধরে সেতুটির মেরামতি হয়েছে। তারপরেও কীভাবে সেতুটি ভেঙে পড়ল, তা বুঝতে পারছে না প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। ৫ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ব্রিজটি ভেঙে পরার কারণের তদন্ত করছে। ম্যানেজার সহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, মেরামতির পর নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই মানুষ চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, শতাব্দী প্রাচীন সেতুটির সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার আগে সুরক্ষা শংসাপত্রও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বিপর্যয়ের নেপথ্যে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। ভারবহন ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ উঠেছিলেন। ব্রিজে লাথি মারা হয়েছিল। ঝাঁকানোও হয়েছিল।
আরও পড়ুন, Gujarat Bridge Collapsed: ছটপুজোয় মৃত্যু মিছিল, কয়েকশো মানুষের দাপাদাপিতেই ভেঙে পড়ে ব্রিজ!
এই ঝুলন্ত সেতুর যখন তার ছিঁড়ে যায়, তখন নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন সেতুর উপরে। সেতু ভেঙে তাঁরাও নদীতে পড়ে যান। সেতু ভেঙে যাওয়ার পরে মানুষ একে অপরের উপরে পড়ে যায়। ভিডিয়োতে অনেককে মরিয়া হয়ে সেতুর বেঁচে থাকা অংশ আঁকড়ে থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি দেখা যায় কিছু মানুষ সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠারও চেষ্টা করছেন। সেতু খোলার ৫ দিনের মাথায় কীভাবে ভেঙে পড়ল সেতু? সেতু বিপর্যয়ের দায় কার? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।