Kolkata Bus Accident: সেতুর উপরে নিয়ন্ত্রণ হারাল যাত্রী বোঝাই বাস, চাকায় পড়ে গেলেন বাইক আরোহী
বাসটি পেছনের দিকে আসাতে অনেকেই সরে পড়তে পারলেও বাইক আরোহী তাঁর গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। বাসটি পিছিয়ে এসে প্রথমে বাইকটিকে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কায় বাইকটি পড়ে যায় চাকার তলায়। এরকম অবস্থায় বাইকটিকে ঠেলতে ঠেলতে অনেকদূর নিয়ে যায় বাসটি
রণয় তেওয়ারি: অফিস টাইমে চোখের সামনে ঘটে গেল বড়সড় দুর্ঘটনা। বাসের পেছনে দাঁড়িয়ে রাস্তা খোলার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হলেন এক বাইক আরোহী। শুক্রবার সকালে এমনই এক দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তারাতলার বেস ব্রিজের উপরে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সকালে তারাতলার দিক থেকে হাইড রোডের দিকে যাচ্ছিল ১২সি রুটের একটা বাস। অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে একটি বাইকে চড়ে ২ যুবক যাচ্ছিলেন জিনজিরা বাজার থেকে হাইডে রোডের দিকে। বেস ব্রিজের কাছে আসতেই বাসটি দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে শুরু করে। ফলে বাসটির পেছনে দাঁড়িয়ে যায় ওই বাইকটিও। ঢালু ব্রিজে দাঁড়িয়ে আচমকাই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনের দিকে আসতে থাকে। বাসটি পেছনের দিকে আসাতে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে পেছনের যান চালকদের মধ্যে।
এদিকে, বাসটি পেছনের দিকে আসাতে অনেকেই সরে পড়তে পারলেও বাইক আরোহী তাঁর গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। বাসটি পিছিয়ে এসে প্রথমে বাইকটিকে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কায় বাইকটি পড়ে যায় চাকার তলায়। এরকম অবস্থায় বাইকটিকে ঠেলতে ঠেলতে অনেকদূর নিয়ে যায় বাসটি। আসপাশের লোকজন চিত্কার করলেও বাসটিকে থামাতে পারেননি সেটির চালক।
ঘটনার পরই বাসটি ফেলে রেখে পালায় বাসের চালক। দুই বাইক আরোহীর মধ্যে পিছনে যিনি ছিলেন তার আঘাত তেমন না হলেও গুরুতর আহত হয়েছেন বাইকের চালক। দুইজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিস। আটক করা হয়েছে বাসটিকে। কীভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘচল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সম্প্রতি চালকের দোষে এক দুর্ঘটনা ঘটে ইকোপার্কের কাছে। গত বছর নভেম্বর মাসে মালপত্র নিয়ে বিমানবন্দরে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। নিউটাউনে মিষ্টি হাবের কাছে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একটি বাস শেডে। ট্রাকের প্রবল ধাক্কায় বাস শেডটি ছিটকে গিয়ে পড়ে অন্তত ৫০ মিটার দূরে। ট্রাক চালকের দাবি তাঁর গতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। কিন্তু পুলিসের দাবি, ট্রাকের গতি ছিল কমপক্ষে ৭০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তা না হলে এভাবে বাস শেডটি অতদূর ছিটকে পড়তে পারে না। নিউটাউনে প্রতি এক কিলোমিটার অন্তর বসানো হয়েছে স্পিড মিটার। তার পরেও এমন দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। ওই ঘটনার কিছু দিন আগেই পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে চিংড়িহাটায়। কলকাতা ও বিধাননগর পুলিসকে কড়া ভর্ত্সনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-অর্পিতাকে চিনি না! মুখোমুখি বসেই পরিচিতি অস্বীকার পার্থর