Jitendra Tiwari: অবশেষে স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা মামলায় সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ
বর্তমানে রাজ্য পুলিসের হেফাজতে রয়েছেন জিতেন্দ্র। শুক্রবার সকালে তাঁকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও এসএসকেএম জানিয়ে দেয় তাঁকে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই। এরপরেই তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যায় পুলিস।
অর্নবাংশু নিয়োগী: অবশেষে স্বস্তি বিজেপি নেতার। কয়লা মামলায় স্বস্তি পেলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কয়লা মামলায় সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের দেওয়া জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি কেন তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আছে সেটা রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন এটা পরিষ্কার যে, একক বেঞ্চ নির্দেশ এবং ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ আছে। তবে এলাকাটা দেখুন। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন কি? জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না।‘ আদালত আরও জানিয়েছে, ‘আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের আওতায়। কিন্তু একই ঘটনায় দুটি তদন্তকারী সংস্থা? আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এটা কি ভাবে সম্ভব?’
আদালত প্রশ্ন করে ‘কেন এত এক্সসাইটেড হচ্ছে রাজ্য? আমি তো আগেই বলেছিলাম সব কিছু সিবিআইকে দিতে।‘ আদালতের আরও প্রশ্ন কয়লা মামলা তদন্ত করছে সিবিআই। অথচ রাজ্য পুলিশ কয়লা মামলায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।
আরও পড়ুন: ওএমআর কারচুপির মাথা, নিয়োগ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা নীলাদ্রিকে 'ক্লিনচিট' সিআইডি-র!
জিতেন্দ্রর আইনজীবী রাজদ্বীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘জিতেন্দ্র গ্রেফতার হয়েছে। সেটা রাজ্য কারণ দেখাবে শীর্ষ আদালতে’। তিনি আরও বলেন, ‘রানীগঞ্জ পুলিস স্টেশনে ২০২০ দায়ের হওয়া মামলায় জেল হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি’।
আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: কলকাতায় আনা হল জিতেন্দ্রকে, ভর্তির প্রয়োজন নেই জানাল SSKM হাসপাতাল
এই ঘটনায় রাজ্যের তরফে আদালতে বলা হয়, ‘কয়লা চুরি হয়ে গিয়েছে। এখন কয়লা গুঁড়ো সংক্রান্ত বিষয়। রাজ্য কি তদন্ত করতে পারবে না!’ তাঁরা আরও দাবি করেছে, ‘কত মামলা সিবিআই নিষ্পত্তি করতে পেরেছে। চার্জশিট পর চার্জশিট। এখন সময় এসেছে সিবিআই রিপোর্ট তলব করার। সিবিআই তদন্ত করবে আর তারা স্বাধীনভাবে ঘুরবে! এটা হতে পারে না’।
বর্তমানে রাজ্য পুলিসের হেফাজতে রয়েছেন জিতেন্দ্র। শুক্রবার সকালে তাঁকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও এসএসকেএম জানিয়ে দেয় তাঁকে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই। এরপরেই তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যায় পুলিস।