বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরি! SSC দুর্নীতিতে বিস্ফোরক অভিযোগের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের নয়া নির্দেশ
বিচারপতি হুঁশিয়ারি দেন, 'অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, তাই প্যানেল বাতিল করছি না। নাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দিতাম।' ওয়েটিং লিস্ট থেকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের নির্দেশ।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার আর শুধু ভুয়ো নাম্বার নয়, আরও বড় অভিযোগ! আরও বিস্ফোরক অভিযোগ! বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরির অভিযোগ উঠল এবার। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ২০১৬ সালে SLST নিয়োগের প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরও বেশি দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই মর্মে আদালতে ২১ জনের নামের তালিকা পেশ করেছেন মামলাকারী। ওই ২১ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। একইসঙ্গে বিচারপতি হুঁশিয়ারি দেন, 'অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, তাই প্যানেল বাতিল করছি না। নাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দিতাম।' সেইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নবম-দশমে ১০২ শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। ওয়েটিং লিস্ট থেকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি, এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশও দিলেন তিনি। কারণ, আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, টাকা নিয়ে নিয়োগ, সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়েও চাকরি! প্রভৃতি একাধিক অভিযোগ উঠেছে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। এবার সামনে এসেছে অষ্টম শ্রেণি পাস করেও কেউ কেউ চাকরি পেয়েছেন। আর যার জন্য বিপুল টাকা লেনদেনেরও অভিযোগ উঠেছে। যে মামলায় নাম জড়িয়েছে ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান তথা তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি ঘোষের। প্রসঙ্গত, পর্ষদের আপিল কমিটিতেও ছিলেন দেবজ্যোতি। তাঁকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এক মামলাকারী অভিযোগ করেন, দেবজ্যোতি ঘোষ একজন প্রাথমিক শিক্ষক। অথচ তিনি যখন পাসপোর্টের আবেদন করেন, তখন তাঁর শিক্ষগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন ক্লাস এইট পাস। তিনি আবার ভাটপাড়া পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্য়ান। নির্বাচনে লড়ার জন্য কি তিনি অনুমতি নিয়েছিলেন? স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষকের বেতনের পাশাপাশি, সেখান থেকেও তিনি প্রতিমাসে সাম্মানিক পান। একইসঙ্গে দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, টাকা নিয়ে তিনি অনেককে চাকরি পাইয়েও দিয়েছেন।
যদিও দেবজ্যোতি ঘোষ দাবি করেছেন, 'আমার পাসপোর্টে অষ্টম শ্রেণি বলে উল্লেখ নেই । প্রথম বার যখন আমি পাসপোর্ট করতে দিই তখন সব সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ছিলাম। কোন কারণে সেটি শেষ পর্যন্ত গ্রাহ্য না হওয়ার জন্য আমি মাধ্যমিক দিয়ে শেষপর্যন্ত পাসপোর্ট করি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গেই যুক্ত নই। আর আমার চাকরি হয়েছে ২০১০ সালে। আমি স্কুলেকে জানিয়েই ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। স্কুল থেকে যে মাইনে পাই আর পৌরসভার থেকে যেটা পাই সেটা সান্মানিক। আমার স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে।'
আরও পড়ুন, ফের রাজ্য সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়!
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)