কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নতুন সংজ্ঞা কী? মেয়রই জানেন!
টাউনহল এবং মোহরকুঞ্জে নির্দিষ্ট কয়েকটি টি ভি চ্যানলকে অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না কলকাতা পুরসভা। মেয়রের মন্তব্য, এইসব সভাস্থলে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের অনুষ্ঠান কৃষ্টি, সংস্কৃতির বাইরে হচ্ছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
টাউনহল এবং মোহরকুঞ্জে নির্দিষ্ট কয়েকটি টি ভি চ্যানলকে অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না কলকাতা পুরসভা। মেয়রের মন্তব্য, এইসব সভাস্থলে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের অনুষ্ঠান কৃষ্টি, সংস্কৃতির বাইরে হচ্ছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? বাস্তব বলছে এই দুটি মঞ্চেই সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নতুন সংজ্ঞা নিয়ে।
এই সভাস্থলগুলিতে সমসাময়িক নানান বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান করেছে ২৪ ঘণ্টা। মুম্বইয়ের তাজ হোটেলকে জঙ্গিমুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন। প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। তাঁদেরই স্মরণে ২৪ ঘণ্টা আয়োজন করে একটি অনুষ্ঠান, `আগুন আমার ভাই`। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজের সব স্তরের মানুষ। বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সুচিত্রা মিত্রের স্মরণ অনুষ্ঠান হয়েছে এই মোহরকুঞ্জেই। বিশ্ব এডস দিবস উপলক্ষে ২৪ ঘণ্টার অনুষ্ঠান, `জীবনের জন্য..`। মোহরকুঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে `সঙ্কল্প`। সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার সঙ্কল্প নিয়েই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়, জনস্বার্থ এবং সমাজ সচেতনতার নানান বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এইসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। শুধু মোহরকুঞ্জেই নয়, টাউনহলেও হয়েছে এধরনের অনুষ্ঠান।
মেয়র বলেছেন, ``এইসব মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলি কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির বাইরে চলে যাচ্ছে।`` কিসের ভিত্তিতে মেয়র এমন কথা বললেন? তবে কী এইসব অনুষ্ঠান কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির পরিপন্থী? নাকি পাল্টে যাচ্ছে `কৃষ্টি`র নতুন সংজ্ঞা!