কুণাল বসু খুনের ১৩ বছর পর ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত নান্টু
২০০২ সালে খুন হন দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের বাসিন্দা কুণাল বসু। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কল্যাণ রায় ওরফে নান্টুকে শুক্রবার দেবায়ন পার্ক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। এর আগেই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নিহতের স্ত্রী মুনমুন বসুকে।
২০০২ সালে খুন হন দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের বাসিন্দা কুণাল বসু। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কল্যাণ রায় ওরফে নান্টুকে শুক্রবার দেবায়ন পার্ক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। এর আগেই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নিহতের স্ত্রী মুনমুন বসুকে।
এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন কুণাল বসুরই ঘনিষ্ঠ কল্যাণ রায় ওরফে নান্টু। তখন তাকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিস। বিচারে মুনমুন বসুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় নিম্ন আদালত। তবে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান কল্যাণ রায়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করেন মুনমুন বসু। বিচারে মুনমুন বসুকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের রায়কে ভুলে ভরা আর দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্টের বিচারপতি। এই আদেশের জেরে তেরো বছর পর জেল থেকে ছাড়া পান মুনমুন বসু। অবশ্য তাঁর দুই ছেলে মায়ের কাছে ফিরতে অস্বীকার করে।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন মুনমুন বসুর শাশুড়ি অনুরাধা বসু। তবে হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। ওই সময়ই ফের সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন কল্যাণ রায় ওরফে নান্টু। তবে সেই আর্জি নাকচ করে এই মামলায় কল্যাণ রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই থেকেই ফেরার ছিলেন কল্যাণ রায়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করল পর্ণশ্রী থানার পুলিস।