আইন আইনের পথেই চলেছে, লাভপুর হত্যা মামলার চার্জশিটে মণিরুলের নাম ঢোকা নিয়ে মন্তব্য পার্থর
লাভপুর হত্যা মামলার চার্জশিটে নাম ঢুকেছে বিধায়ক মণিরুল ইসলাম ও মুকুল রায়ের। হাইকোর্টের নির্দেশে লাভপুর কাণ্ডের নতুন করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। তারপরেই দেওয়া হয়েছে নতুন চার্জশিট । এনিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লাভপুর হত্যা মামলার চার্জশিটে নাম ঢুকেছে বিধায়ক মণিরুল ইসলাম ও মুকুল রায়ের। হাইকোর্টের নির্দেশে লাভপুর কাণ্ডের নতুন করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। তারপরেই দেওয়া হয়েছে নতুন চার্জশিট । এনিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-রাতে মহিলাদের সুরক্ষায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোন নম্বর দেওয়ার হিড়িক, নয়া ফাঁদ বলছে লালবাজার
রবিবার বেহালা পশ্চিমের ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল দিদিকে বলো কর্মসূচি। সেই অনুষ্ঠানে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি থেকে রাজ্যপালের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন পার্থ। লাভপুর মামলায় মণিরুল ইসলাম ও মুকুল রায়ের নাম থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পার্থ বলেন, আইন আইনের মতো কাজ করেছে। এনিয়ে কিছু বলার নেই।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৪ জুন, লাভপুরের নবগ্রামে, সালিশি সভার নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে, ৩ ভাই ধানু, কোটন এবং ওইসুদ্দিন শেখকে পিটিয়ে খুন করা হয়। তত্কালীন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা, মণিরুল ইসলামের নির্দেশেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পরে, তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন মণিরুল ইসলাম। সাঁইথিয়ার এক সভায় প্রকাশ্যেই ৩ভাইকে খুনের কথা মনে করিয়ে, রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেন তিনি। এরপরও পুলিসের চার্জশিটে মণিরুলের নাম ছিল না।
নিহতের ভাইরা মণিরুলের নাম সে সময় করেনি। ২০১৪ সালে মণিরুল সহ ২২জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় নিম্ন আদালত। ২০১৫ সালে হাইকোর্টে যান নিহতদের ভাই জামাল শেখ। খুনের ঘটনার নতুন তদন্ত দাবি করেন। এবছরের ৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তদন্ত শেষে বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিস।
আরও পড়ুন-পুলিস বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
লাভপুরে তিনভাই খুনের মামলায় অভিযুক্ত মণিরুল ইসলাম। খুনে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ২০১০ সালে ঘটনার সময় মুকুল রায় তৃণমূল নেতা ছিলেন। সেসময় ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে মণিরুলের তৃণমূল যোগ দেওয়ার কথা চলছিল। নতুন করে হওয়া তদন্তে খুনের পিছনে মুকুল রায়ের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। চার্জশিটে মণিরুলের নাম ঢোকায় খুশি নিহতদের পরিবার। তবে, মুকুল রায়ের জড়িত থাকা বিষয়ে মুখ খুলতে চানননি নিহতের মা।