‘জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে আছি’, তেলঙ্গানা এনকাউন্টারের মতোই শাস্তির দাবি পাম অ্যাভিনিউয়ের ২ নির্যাতিতার

২০১২ সালের ঘটনা। কলকাতার পাম অ্যাভিনিউ এলাকায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এলাকার দুষ্কৃতী শাহাজজাদার বিরুদ্ধে

Updated By: Dec 8, 2019, 06:26 PM IST
‘জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে আছি’, তেলঙ্গানা এনকাউন্টারের মতোই শাস্তির দাবি পাম অ্যাভিনিউয়ের ২ নির্যাতিতার

কমলাক্ষ ভট্টাচার্য

টানা সাত বছর ধরে চলছে মামলা। ধর্ষকের এনকাউন্টারের দাবিতে সরব হচ্ছেন কলকাতার পাম অ্যাভিনিউয়ের একই পরিবারের দুই মহিলা।

আরও পড়ুন-পুলিস বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

২০১২ সালের ঘটনা। কলকাতার পাম অ্যাভিনিউ এলাকায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এলাকার দুষ্কৃতী শাহাজাদার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিসের সোর্স হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তত্পরতা দেখায়নি পুলিস। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে দেরি হওয়ায় ওই কিশোরীর পাশে দাঁড়ান এলাকার যুবক আমিনুল ইসলাম। এরপরই আমিনুলের ওপরে নেমে আসে পুলিশি নির্যাতন। আমিনুলকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে কড়েয়া থানার সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন আমিনুল।

আত্মহত্যার ওই ঘটনার পরই চাপে পড়ে শাহাজাদাকে গ্রেফতার করে পুলিস। ক্লোজ করা হয় কড়েয়া থানার ৩ পুলিস কর্মীকে। কিন্তু ১ বছর পরই ছাড়া পেয়ে যায় আমিনুল। এরপর পাল্টা প্রতিশোধ নেয় শাহাজাদা। দলবল নিয়ে এসে অভিযোগকারীনি ও তার মাসিকে ধর্ষণ করে শাহাজাদা। সেই মামলা এখনও চলছে।

আরও পড়ুন-দু’দশকে সবচেয়ে ভয়াবহ আগুন দিল্লিতে, মৃত বেড়ে ৪৩, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

বর্তমানে বিচারাধীন বন্দি শাহাজাদা। গত সাত বছর ধরেই আদালতে ছুটছেন নির্যাতিতারা। উল্টে জেল থেকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে শাহাজাদা।  নির্যাতিতাদের প্রশ্ন, এখনও কেন মিলছে না ইনসাফ!  কেন শাহাজাদাকে দেওয়া হচ্ছে না সর্বোচ্চ শাস্তি! তেলেঙ্গানা এনকাউন্টারকাণ্ডের পর নির্যাতিতার দাবি,  ‘জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে রয়েছি। সাত বছর ধরে হুমকিই পাচ্ছি। এর থেকে ওরা মেরে ফেললেই ভালো করত। হায়দরাবাদ পুলিস যদি ধর্ষণকারীদের গুলি করে মারতে পারে তা হলে আমাদের কেন ৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’

আমিনুলের আত্মহত্যা ও দুই নির্যাতিতাকে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন এলাকার যুবক জাহিদ। তিনি জানান, অসহায় হয়ে দিনের পর দিন আদালতে ঘুরেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমিনুলকেও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়। ও আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।

.