ধর্মঘটের পাশে দাঁড়ান, মমতাকে পাল্টা চাপ বামেদের
ইউপিএ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে কৌশলী প্রতিক্রিয়া দিল বামেরা। পাল্টা চাপ দিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে তাঁদের প্রস্তাব, সরকার যেন ধর্মঘটের বিরোধিতা না করে বামেদের পাশে দাঁড়ায়।
ইউপিএ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে কৌশলী প্রতিক্রিয়া দিল বামেরা। পাল্টা চাপ দিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে তাঁদের প্রস্তাব, সরকার যেন ধর্মঘটের বিরোধিতা না করে বামেদের পাশে দাঁড়ায়।
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তাঁদের ধর্মঘটের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়াতে বললেন বাম নেতারা। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক অবস্থানে পরিস্কার বামেদের সিদ্ধান্ত সঠিক। বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছেন, বামেদের ধর্মঘটের আহ্বান যে যুক্তিপূর্ণ তা তৃণমূল কংগ্রেসের সিদ্ধান্তেই প্রতিফলিত। আমরা মনে করি জনস্বার্থবিরোধী এই কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে ২০ সেপ্টেম্বর বামফ্রন্ট যে ধর্মঘট ডেকেছে তার বিরোধিতার পথ থেকে সরে আসবে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রায় একই কৌশলী অবস্থান নিয়েছে অপর বাম দল সিপিআই-ও। প্রতিক্রিয়ায় গুরুদাস দাশগুপ্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে শুধু স্বাগতই জানাননি, একধাপ এগিয়ে বিশে সেপ্টেম্বর বামেদের ডাকা ধর্মঘটে সমর্থনও চেয়েছেন তিনি।
বিরোধীদের ডাকা ধর্মঘট নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক এবং বিরোধী শিবিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। একদিকে ধর্মঘটকে সফল করতে মরিয়া বাম শিবির। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্যকে সচল রাখা সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছে। এই চাপানউতোরের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে মোকাবিলা করতেই পাল্টা চাপের কৌশলী পথ নিয়েছে বামেরা।