তৃণমূলে যোগ দিলেন দাপুটে বাম নেতা তাপস চ্যাটার্জি
আজই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন রাজরহাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস চ্যাটার্জি। তাঁর সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন আরও সাত বাম নেতা। বিকেলে তৃণমূল ভবনে দলীয় মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সকলে যোগ দিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, কাকলি ঘোষদোস্তিদারও সেখানে থাকবেন। থাকতে পারেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ওয়েব ডেস্ক: কাস্তে ছেড়ে ঘাসফুলে তাপস চ্যাটার্জি। সঙ্গে ছয় সিপিএম কাউন্সিলর ও ১১ জন লোকাল কমিটির নেতা। কার্যত এসকর্ট করে রাজারহাটের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে নিয়ে এলেন কাকলি ঘোষদোস্তিদার। ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দেখতে গেলে আপাত নিরীহ দলবদল। কিন্তু পিছনে রয়েছে, রাজারহাট পুরসভার নির্বাচন ও সিন্ডিকেট রাজনীতির অঙ্ক।
রাজারহাটের বেপরোয়া সিন্ডিকেট রাজে রাশ টানতে কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে সব্যসাচী গোষ্ঠীর ভজাই সর্দার আর রুইসকে। পুলিসের জালে ধরা পড়েছে কাকলি ঘোষদস্তিদার গোষ্ঠীর হায়দার আলিও।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দুই শাগরেদের গ্রেফতারিতে বেসামাল সব্যসাচী। তাঁকে আরও কোণঠাসা করতে কাকলি ঘোষদস্তিদারের তাপস-চাল। কারণ, রাজারহাটের সিন্ডিকেট রাজ তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক গোষ্ঠীর প্রেস্টিজ ফাইট।
কিন্তু কেন মুকুল ঘনিষ্ঠ সব্যসাচীকে চাপে ফেলতে দলে নেওয়া হল রাজারহাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস চ্যাটার্জিকে?
বাম আমলে রাজারহাটে সিন্ডিকেট রাজের রাশটা ছিল দাপুটে সিপিএম নেতা তাপস চ্যাটার্জির হাতে। তাঁর সঙ্গে লড়াই করেই সিন্ডিকেট রাজে জায়গা করে নেন সব্যসাচী দত্ত। মনে করা হচ্ছে, সদলবলে তাপসকে তৃণমূলে নিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাপস চ্যাটার্জিকে সঙ্গে নিয়ে সিন্ডিকেট রাজে একচ্ছত্র জায়গা তৈরি করলেন। আর পুরভোটের আগে বাম শিবিরে দিলেন জোর ধাক্কা।
শোনা যাচ্ছে তাপস চ্যাটার্জিকে দলে টানতে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলা তোলার টোপও দিয়েছে তৃণমূল।
নির্বাচনের আগে দল ভাঙানোর খেলায় একসময় সিদ্ধহস্ত ছিলেন মুকুল রায়। সেই ট্রেন্ড যে শেষ হয়ে যায়নি, মুকুলহীন তৃণমূলের তাপস-চাল তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল।