বামেদের নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার, পুলিসের এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ, জখম বিমান বসু, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি

বামেদের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে অশান্তি ছড়াল হাওড়া ও কলকাতার একাধিক এলাকায়। ডাফরিন রোডে মিছিল পৌছলে বাধা দেয় পুলিস। এরপরই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন বাম প্রতিনিধিরা। মিছিল আটকাতে মরিয়া পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় তাঁদের। হাওড়ার ফোরশোর রোডে মিছিল আটকাতে পুলিস লাঠিচার্জ করে। নামানো হয় RAFও।

Updated By: Aug 27, 2015, 04:47 PM IST
বামেদের নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার, পুলিসের এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ, জখম বিমান বসু, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি

ওয়েব ডেস্ক: বামেদের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিস ও বাম সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া ও কলকাতার কিছু  এলাকা। আহত হয়েছেন বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ বেশ কয়েকজন বাম নেতা। কলকাতায় পিটিএস মোড়, ডাফরিন রোড এলাকা দুপক্ষের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়।  এদিন ডাফরিন রোডে মিছিল পৌছলে বাধা দেয় পুলিস। এরপরই  ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন  বাম কর্মী সমর্থকেরা। মিছিল আটকাতে মরিয়া পুলিসের সঙ্গে  ধস্তাধস্তি বেধে যায় তাঁদের। এখানেই ইটের ঘায়ে আহত হন বিমান বসু।

অন্যদিকে, সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে খিদিরপুর থেকে বের হওয়া  বামেদের মিছিল পিটিএস মোড়ে আটকে দেয় পুলিস। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। মিছিল থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে শুরু হয় তুমুল  ইটবৃষ্টি। পাল্টা এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে পুলিস। পরিস্থিতি সামলাতে ছোড়া হয়  জলকামান, টিয়ারগ্যাস। আহত হন সুজন চক্রবর্তী ও ঋতব্রত সেনগুপ্ত।

বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হাওড়াও।  ফোরশোর রোডে মিছিল আটকাতে পুলিস লাঠিচার্জ করে। পুলিসকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইটে মাথা ফেটে যায় এক পুলিসকর্মীর। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিস। মুহুর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। তবে সবচেয়ে বড় অশান্তি বাধে কোণা এক্সপ্রেসওয়েতে। কোনা এক্সপ্রেস ধরে মিছিল এগোয় সাঁতরাগাছি স্টেশনের দিকে। হ্যাংস্যাঙ মোড়ে ব্যারিকেড করে মিছিলকারীদের আটকায় পুলিস।  তবে ব্যারিকেড ভেঙেই এগোনোর চেষ্টা করেন মিছিলকারীরা। শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। মিছিল থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে  ইটবৃষ্টি শুরু হয় । এই সময় জলকামান ব্যবহার করে মিছিলকারীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিস। তবে জলকামান ভাঙচুর করে এগোয় মিছিলকারীরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়িও। এরপর বেনেপোলের কাছে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিস। ছোড়ে টিয়ারগ্যাসও।  দুপক্ষের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে এই সময় দুটি স্টান্ট সেল ফাটায় পুলিস। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। এরপরেই আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন মিছিলকারীরা।  কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে বসে পড়েছেন কয়েক হাজার বাম সমর্থক। এর জেরে আপাতত আবরুদ্ধ কোনা এক্সপ্রেস।

.