ফাঁকিবাজির দিন শেষ, নিয়মের যাঁতাকলে পড়ে অফিস ছুটির পর সভা করবে বামেরা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পথে নেমে আন্দোলনে জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করলেই রয়েছে বদলির জুজু। সঙ্গে জমতে জমতে এভারেস্ট ছাড়িয়েছে DA-র হতাশা। সব মিলিয়ে আর আশান্তি বাড়াতে চায় না কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফাঁকিবাজ হিসাবে নিজেদের দুর্নাম ঘোচাতে অবশেষে উদ্যোগী হল বামপন্থী কর্মী সংগঠনগুলি। এই প্রথম কাজের সময় বাদ দিয়ে সভা করতে চলেছে সিপিএম প্রভাবিত রাজ্য কর্মচারী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। আগামী ৮ ও ৯ জানুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে এই সভা শুরু হবে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টায়। অফিস ছুটির পর।
বাম জমানায় অফিস ফাঁকি দিয়ে সভা সমাবেশ করায় কো-অর্ডিনেশন কমিটির জুড়ি মেলা ছিল ভার। কর্মসংস্কৃতির বেহাল দশা তুলে ধরতে আস্ত একটা গানই লিখে ফেলেছিলেন নচিকেতা। তাতে যদিও হাল ফেরেনি সরকারি দফতরের। কখনো অর্ধদিবস ছুটি নিয়ে, কখনো সেসবের পরোয়া না করেই গুটিগুটি পায়ে অফিস থেকে কেটে পড়েছেন কেরানি থেকে দফতরের বড়বাবু।
গঙ্গাসাগরকে কুম্ভ মেলার মতো অগ্রাধিকার দিতে হবে, ফের সোচ্চার মমতা
সেসব সোনালি দিন এখন অতীত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পথে নেমে আন্দোলনে জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করলেই রয়েছে বদলির জুজু। সঙ্গে জমতে জমতে এভারেস্ট ছাড়িয়েছে DA-র হতাশা। সব মিলিয়ে আর আশান্তি বাড়াতে চায় না কো-অর্ডিনেশন কমিটি। তাই সভা হবে অফিস ছুটির পর।
যদিও কাজের দিনেই ধর্মঘট ডেকেছে বামেরা। ৮ ও ৯ জানুয়ারি যথাক্রমে মঙ্গল ও বুধবার শ্রমিক ও কর্মচারীদের একগুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। বামেদের স্থানীয় নেতৃত্বের সাফাই, বনধ ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় ভাবে। তাতে হাত নেই তাদের।