'হটস্পট' কলকাতার 'কনটেনমেন্ট' এলাকাগুলি সিল করছে রাজ্য, নামানো হল কমব্যাট ফোর্স
কলকাতায় রাস্তায় এবার নজরদারিতে থাকবেন তাঁরা। প্রতিটি ডিভিশনে সাত করে কমব্যট ফোর্স পাঠানো হয়েছে বলেই খবর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতাকে হটস্পট ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগেই অবশ্য শহরের বিভিন্ন এলাকাকে চিহ্নিত করে করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে কলকাতা পুরসভা ও পুলিস। ওই এলাকাগুলিকে ‘স্পর্শকাতর’ বা ‘হাই রিস্ক জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নবান্নের সভাঘর থেকে হাওড়া ও কলকাতাবাসীকে সম্পূর্ণরূপে লকডাউন মানার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা মোকাবিলায় কলকাতায় ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
মূলত, কলকাতাকে হটস্পট বা রেড স্টার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন রাজ্য সরকার। তার মধ্যে 'কনটেনমেন্ট' এলাকা অর্থাত্ যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, তা পুরো সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কোন কোন এলাকায় তা করা হচ্ছে, তা শনিবারও স্পষ্ট করে জানাননি মুখ্যসচিব।
এবার স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে লকডাউন রূপরেখা কী, তা খতিয়ে দেখতে পথে নামানো হল কমব্যট ফোর্স। কলকাতার রাস্তার নজরদারিতে প্রতিটি ডিভিশনে সাত করে কমব্যট ফোর্স পাঠানো হয়েছে বলেই খবর।
বিশেষ করে কলকাতার বেশ কিছু অংশে লকডাউন মানা হচ্ছে না। অযথা রাস্তায় বেরোচ্ছেন বহু মানুষ। বাজারগুলিতেও ভিড় করা হচ্ছে। সেই সব এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল থেকে সেসব এলাকায় কমব্যাট ফোর্স রুট মার্চ শুরু করবে। মূলত যে সব এলাকাগুলি রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে নজরদারি আরও সুদৃঢ় করতেই সরকারের এই পদক্ষেপ।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন আবহে কলকাতার চিত্র
- রবিবার পঞ্চসায়র এলাকার শহিদ স্মৃতি কলোনি পুরো গার্ডওয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কমব্যট ফোর্স। দুটো প্রবেশ পথে তিনজন করে ফোর্স রাখা হয়েছে। যাঁরা এলাকায় প্রবেশের ওপর নজর রাখছেন।
গাঁটের ব্যথায় রক্ষে! করোনাকে হারিয়ে এগরার ৭৬ বছরের বৃদ্ধা বেলেঘাটা ID হাসপাতালে 'মডেল রোল'
- রবিবার সকালে ঘটবসতিপূর্ণ জোড়াসাঁকো এলাকার ফলপট্টি থেকে টহল দেয় কমব্যাট ফোর্স।
- এছাড়াও রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত ঠনঠনিয়া, মহাজাতি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এলাকায় টহল দেয় কমব্যাট ফোর্স।
- রেড স্টার হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে রিপন স্ট্রিটও
- রাজাবাজারের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে। তবে জি ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেখানেও খেলায় মত্ত এলাকার বাচ্চারা।
- বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টলিগঞ্জ থানার পাশে হাজি মহসিন রোড।
তবে শুধু কলকাতাই নয়, জেলাগুলির ওপরও কড়া নজর রেখেছে রাজ্য সরকার। জেলাগুলির দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়েছে নোডাল অফিসার। মোট ১২ জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের দায়িত্বে এক বা একাধিক জেলা থাকবে।
ইতিমধ্যেই সেই তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে তাঁদের নিজেদের জেলা পরিদর্শনে যেতে বলা হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় মূলত জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করবেন এই আধিকারিকরা। তাঁদের পরামর্শ দেবেন। এক একটি জেলায় কোনগুলি হাই রিস্ক জোন, সেগুলি চিহ্নিত করা হবে। সেই মোতাবেক লকডাউন সম্পূর্ণ রূপে মানা ও যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে