সিঙ্গুর থেকে শালবনি, কাকদ্বীপ থেকে কামদুনি, মাওয়ের পথে লং মার্চে বামেরা
জাঠার পর লংমার্চ। সরকার বিরোধী আন্দোলনকে ধারাল করতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে লংমার্চ করবে বামেরা। সিঙ্গুর থেকে শালবনি, কাকদ্বীপ থেকে কামদুনি দুটি লংমার্চ করে শিল্প, আইনশৃঙ্খলা, কেলেঙ্কারি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবে বামেরা।
ওয়েব ডেস্ক: জাঠার পর লংমার্চ। সরকার বিরোধী আন্দোলনকে ধারাল করতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে লংমার্চ করবে বামেরা। সিঙ্গুর থেকে শালবনি, কাকদ্বীপ থেকে কামদুনি দুটি লংমার্চ করে শিল্প, আইনশৃঙ্খলা, কেলেঙ্কারি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবে বামেরা।
ঘুরে দাঁড়াতে লংমার্চের ডাক দিয়েছিলেন মাও জে দং। চিয়াংকাই শেক প্রায় পর্যুদস্ত করে ফেলেছিলেন মাও জে দংয়ের লাল ফৌজকে। জিততে মরিয়া মাও পঁচাশি হাজার লাল ফৌজ নিয়ে চার হাজার মাইল মিছিল করে সশস্ত্র অভ্যুত্তানের পথে যান। এবার ঘুরে দাঁড়াতে এরাজ্যে লংমার্চের ডাক দিতে চলেছে বামেরা।
রাজ্যে সত্তর হাজার বুথে জাঠা কর্মসূচি করে বেশ খানিকটা চাঙ্গা হয়েছে দল। এমনই মূল্যায়ন সিপিএম নেতৃত্বের। তাই আলিমুদ্দিনের সিদ্ধান্ত কর্মীদের উত্সাহ ধরে রাখতে ভোট পর্যন্ত পরপর বড় কর্মসূচি করার। জাঠার পরে ২৭ ডিসেম্বর ব্রিগেড সমাবেশ করছে বামেরা। তারপর জানুয়ারি থেকে লংমার্চ।
বামেরা দুটি লংমার্চের পরিকল্পনা করছে। একটি সিঙ্গুর যাবে থেকে শালবনি। যে লংমার্চে ফোকাস রাজ্যে শিল্প পরিস্থিতি। মিছিলের দীর্ঘপথে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, পোস্টার নিয়ে ঘুরবে বাম কর্মীরা। অভিযোগ, সিঙ্গুর শালবনিকে ঘিরে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকার তার মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল আমলে। নতুন শিল্প তো দুরস্ত পুরনো শিল্পও পাততাড়ি গুটিয়েছে। এই মিছিলে কাজের দাবিতে যুবক যুবতীদের ব্যাপক হারে সামিল করাই বামেদের টার্গেট।
দ্বিতীয় লংমার্চের রুট কাকদ্বীপ থেকে কামদুনি। বামেদের অভিযোগ, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সবচেয়ে অরক্ষিত রাজ্যের মহিলা। উদাহরণ হিসেবে কাকদ্বীপ এবং কামদুনির ঘটনাকে সামনে আনবে বামেরা। এই মিছিলে একের পর এক শ্লীলতাহানি , ধর্ষণ, মৃত্যু, পুলিসকে খুন, পুলিস প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্টতাকে ইস্যু করবে বামেরা। দলের মহিলা সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাকদ্বীপ থেকে কামদুনির লংমার্চে ব্যাপক সংখ্যক মহিলাকে সামিল করানোর।