Lottery Case: লটারিকাণ্ডে রাজ্যের এক বিধায়কের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব ইডি-র, অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের
বিভিন্ন জেলায় একাধিক লোকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টিকিট কিনে নিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। পাশাপাশি, লটারি কোম্পানির মালিকারাও ইডির নজরে রয়েছেন। কীভাবে ওই গোটা প্রক্রিয়া চলত তা জানার চেষ্টা করছে ইডি
বিক্রম দাস ও বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: লটারিকাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের এক বিধায়কের স্ত্রী। ওই মামলায় বিধায়কের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করল ইডি। লটারিকাণ্ডের তদন্তে তার পরিধি আরও বাড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। গতকালই সিবিআই পৌঁছে দিয়েছিল বোলপুরে। কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। তদন্তাকরীরা যেটা মনে করছেন তা হল,কালো টাকাকে সাদা করার জন্যই যাবতীয় প্রক্রিয়া। তদন্তে এখানেই থেমে নেই। লটারিকাণ্ডের তদন্ত পৃথক একটি এফআইআর করেছে ইডি। ইতিমধ্যেই ওই মামলায় তারা রাজ্যের এক বিধায়কের স্ত্রীকে নোটিস করে দিল্লিতে তলব করেছে। আগামী ১১ নভেম্বর তাঁকে দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-নজরে উত্তর-পূর্ব, মেঘালয় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কেন এই তলব? জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে ডিয়ার লটারিকাণ্ডে একটি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। তখনই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি আসে ইডির হাতে। ওইসব নথি থেকে তাঁরা জানতে পারেন শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলই নয়, আরও কয়েকজন রয়েছেন যাদের কালো টাকা সাদা করা হতো লটারির মাধ্যমে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই বিধায়কের স্ত্রীকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। অনুব্রত ছাড়া আর কারা লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতেন তা জানা যাবে।
ইডি সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলায় একাধিক লোকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টিকিট কিনে নিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। পাশাপাশি, লটারি কোম্পানির মালিকারাও ইডির নজরে রয়েছেন। কীভাবে ওই গোটা প্রক্রিয়া চলত তা জানার চেষ্টা করছে ইডি।
এদিকে, লটারিকাণ্ডে আজ অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। এবছর জানুয়ারি মাসে ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জেতেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি ওই লটারির টিকিট কেনেন তাঁর গ্রামের বাড়িতে সেখ মুন্না নামে একজন লটারি টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকে। সেখ মুন্না সিবিআইকে জানিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি তাঁর কাছ থেকে লটারি কেনেননি। এটাই মূল প্রশ্ন। লটারির টিকিট তাহলে কিনেছিল কে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই আজ আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদে কী বেরিয়ে এল তা এখনও জানা যায়নি।