হাইকোর্টে খারিজ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন, অনিশ্চিত ২০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যত
ওয়েব ডেস্ক: হাইকোর্টের রায়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত ২০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যত। ২০০৮-এর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন
আইন আজ খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ের কপি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা।
স্বীকৃত মাদ্রাসাগুলিতে স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারি নিয়োগের জন্য ২০০৮-এ তৈরি হয় পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ এই আইনটি অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ, মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের অধিকার মাদ্রাসা বোর্ডের হাতেই থাকবে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিষয়ে মাদ্রাসা বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যায় কাঁথির রহমানিয়া হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সংবিধানের ৩০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় বা ভাষাগতভাবে সংখ্যালঘু সব সম্প্রদায় তাদের ইচ্ছানুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি ও পরিচালনা করতে পারবে।
আবেদনকারীর তরফে হাইকোর্টে দাবি করা হয়, রাজ্য সরকার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তৈরি করে তাঁদের হাত থেকে শিক্ষক নিয়োগের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
এর ফলে, সংবিধানের ৩০ নম্বর ধারায় উল্লেখিত মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হচ্ছে।
২০১৪-এর মার্চে বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। চলতি বছরে একটি শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে বলেন, রাজ্য সরকার এই মামলা তুলে নেবে। তবে একইসঙ্গে সরকার চায়, সরকারের দেওয়া গাইডলাইন মেনে নিয়োগ করুক মাদ্রাসা বোর্ড। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেই গাইডলাইন জমা দিতে না পারায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন।